গৃহস্থালিসহ হোটেল ও রেস্তোরায় ব্যবহৃত তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সিলিন্ডারের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) লিখে দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
জনস্বার্থে আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিঙ্কন।
একইসঙ্গে, রিটে আন্তর্জাতিক বাজারে এলপি গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ওপর ভিত্তি করে দেশে কি হারে দাম বাড়বে তা নির্ধারণে একটি মূল্য নির্ধারণ কমিটি গঠনের জন্যও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটে জ্বালানী সচিব ও বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটের বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে জানান, আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
এর আগে, গত ৬ জানুয়ারি এলপিজি সিলিন্ডারের গায়ে কেন সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য উল্লেখ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে বিবাদীদের একটি আইনি নোটিশ পাঠান রিটকারী আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিঙ্কন।
সে সময় এই আইনজীবী বলেন, এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লেখা না থাকায় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে যখন তখন এর দাম বাড়াচ্ছে বেসরকারি এলপি গ্যাস সরবরাহকারী স্থানীয় কোম্পানিগুলো। ক্ষেত্রবিশেষে দেখা যায় আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির আগেই হয়তো স্থানীয় কোম্পানিগুলো এসব গ্যাস আমদানি করেছিল। আর এখন সুযোগ পেয়ে অতিরিক্ত মুনাফা পেতে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে গ্রাহককে।
তিনি আরও বলেন, এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য লেখা থাকলে ভোক্তাকে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে না। আর আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরাও যখন তখন অযথা দাম বাড়িয়ে অসৎ উপায়ে লাভবান হতে পারবে না।
নির্ধারিত সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নোটিশের যথাযথ জবাব না পেয়ে জনস্বার্থে আজ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন ওই আইনজীবী।