বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

সব আদালতকে ই-জুডিশিয়ারির আওতায় আনার বিষয়ে আদেশ রোববার

মামলাজট হ্রাসে এবং বিচারপ্রার্থীর দুর্ভোগ লাঘবে দেশের সকল আদালতসমূহকে ই-জুডিশিয়ারির আওতায় আনতে এবং ই-কোর্ট স্থাপনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে দায়েকৃত রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী রোববার আদেশ দেবেন আদালত।

আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট আবেদনটি ওপর শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশের জন্য রোববার (১৯ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন।

রিটকারী আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।

অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন বলেন, রিট আবেদনটি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের দ্বৈত বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অতিসম্প্রতি বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী অবসরে যাওয়ায় নতুন বেঞ্চে আবেদনটি উত্থাপন করলে শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য এ দিন (রোববার) ধার্য করেছেন আদালত।

এর আগে, গত ১১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ফরহাদ উদ্দিন।

রিট আবেদনে বলা হয়, বিশ্বের অনেক দেশের আদালতসমূহ ই-জুডিশিয়ারির আওতাভুক্ত। যা গ্রীন কোর্ট কনসেপ্টকে প্রতিনিধিত্ব করে। অর্থাৎ বিচার বিভাগ ডিজিটাল হলে কাজগজের ব্যবহার কমবে ফলে গাছ বেঁচে যাবে। এছাড়া মামলাজটের কারণে বিচারপ্রার্থীর সময় ও সম্পদ (অর্থ) নষ্ট হচ্ছে যা সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদ পরিপন্থী। এছাড়াও সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারপ্রার্থী মানসম্পন্ন জীবন যাপনে সক্ষম হবে। পাশপাশি ই-জুডিশিয়ারি চালু হলে আদালতের আদেশ অল্প সময়ের মধ্যে প্রতিপালন করা সহজ হবে। ফলে জামিন আদেশ, সাজা পরোয়ানা মূহুর্তে দেশের সংশ্লিষ্ট জায়গায় পৌঁছে যাবে। সর্বোপরি বিচার বিভাগ ডিজিটাল হলে দুর্নীতি কমবে। এতে করে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৫(৩) অনুযায়ী, ‘ফৌজদারী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালত বা ট্রাইব্যুনালে দ্রুত ও প্রকাশ্য বিচারলাভের অধিকারী হইবেন।’

রিটে আইন সচিব, তথ্য-প্রযুক্তি (আইসিটি) সচিব, মন্ত্রীপরিষদ সচিব, পরিকল্পনা সচিব এবং আইন কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।