স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষকদের বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রেসডিয়াম সদস্য ও বিরোধী দলীয় এমপি কাজী ফিরোজ রশিদ।
জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) তিনি এ দাবি করেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়া সভাপতিত্ব করেন।
শিশু ও নারী ধর্ষণের মতো অপরাধ বিষয়ে ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘শিশু, নারী ধর্ষণ, বাস যাত্রীদের হত্যা, নিষ্পাপ শিশুদের হত্যার ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। প্রতি মাসে গড়ে ৮৪ জন খুন হচ্ছেন।’
কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে আবেগতাড়িত হয়ে গুলি চালানার কথা বলেছিলাম সংসদে। আসলে আমি চাই সকল ধর্ষণকারী যারা আছে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে একটা কঠোর আইন করতে হবে। যাতে ধর্ষকদের ৯০ দিনের মধ্যে স্পেশাল ট্রাইব্যুনালে বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া যায়। দুঃখ লাগে কিছু মানবাধিকার কর্মী বাইরে বলেছেন কেন সংসদে গুলির কথা বললাম। এনিয়ে অনেকে উপহাস করেছেন, আমি ওইভাবে মিন করিনি। কিন্তু তারপর বলছি কঠোর শাস্তি হোক।
তিনি বলেন, সরকার অনেক উন্নয়ন করেছে। কিন্তু উন্নয়নের সফলতা ম্লান হয়ে গেছে আর্থিকখাতে সীমাহীন অনিয়ম এবং দুর্নীতি। সবথেকে বেশি দুর্নীতি হচ্ছে ব্যাংকিং খাতে। ব্যাংকিং খাতে একটা হরিলুট হয়েছে। পাহাড় সমান দুর্নীতির অভিযোগ প্রশান্তের বিরুদ্ধে। প্রশান্ত কুমার হালদার ৫ হাজার কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন। উনি এনবিআর গ্রুপ অব ফাইনান্সের এমপি।
তিনি আরও বলেন, মুজিবর্ষে গ্রাম বাংলার সব রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ, স্কুল-কলেজ মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামকরণ করা হোক। এটা করলে আগামী প্রজন্ম জানতে পারবে বঙ্গবন্ধুর ডাকে কারা সেদিন মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল। ইতিহাস থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের নাম কেউ মুছে ফেলতে পারবে না।