দীর্ঘ এক দশক পর সিলেটের আদালতগুলোতে কর্মরত রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তাদের রদবদল প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেওয়ানী ও ফৌজদারি আদালতের সরকারি কৌসুলি, জিপি, পিপি, বিশেষ পিপি, অতিরিক্ত পিপি, এপিপি পদে পুরাতনদের সরিয়ে নতুন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ৮৬টি পদে রদবদল হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ (জিপি/পিপি শাখা) থেকে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নিয়োগ-সংক্রান্ত এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। উপ-সলিসিটর (জিপি-পিপি) মো. মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত নিয়োগ-সংক্রান্ত এ প্রজ্ঞাপন সিলেট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হয়।
আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগের প্রেরিত স্মারকের তথ্য মতে, সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইন কর্মকর্তা (পাবলিক প্রসিকিউটর-পিপি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন। সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট নওশাদ আহমদ চৌধুরী।
এছাড়া বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে বিশেষ পিপি পদে অ্যাডভোকেট মো. মনির উদ্দিন, জননিরাপত্তা ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি পদে অ্যাডভোকেট মফুর আলী, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট রশিদা সাঈদা খানম।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট এএফএম রুহুল আনাম চৌধুরী মিন্টু, জামিনুল হক জামিল, মাহফুজুর রহমান, জসীম উদ্দিন, কিশোর কুমার কর, শামসুল ইসলাম, দীনা ইসলাম, রঞ্জিত সরকার ও আনোয়ার হোসেন।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি পদে নিয়োগ পেয়েছেন অ্যাডভোকেট সুয়েব আহমদ, মঈনুল ইসলাম, একেএম সামিউল আলম, সৈয়দ শামীম আহমদ, ফরহাদ হোসেন খান ও মো. নাসির উদ্দিন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সহকারী পিপি পদে অ্যাডভোকেট ফারুক আহমদ চৌধুরী, জুনেল আহমদ, আবদুল মজিদ খান মানিক, আলী মোস্তফা মিশকাতুন নূর, মো. আলতাফ হোসেন, মোস্তা শাহীন চৌধুরী, মোস্তাফা দেলোয়ার আল আজহার, আবদুর রহমান সেলিম, আবদুল হাই, মো. আবদুল মজিদ খোকা, এসএম পারভিন, মো. আমজাদ আলী, মাসুম আহমদ, মো. আবদুস সাত্তার, পান্না লাল দাস, মো. জাহাঙ্গীর আলম, বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, মো. শাহজাহান চৌধুরী, মো. আলঅউদ্দিন, মো. আকবর হোসেন, মো. আবু সিদ্দিক, মামুনুর রশিদ, রাখাল চন্দ্র দাস, শাবানা ইসলাম, আসমা বেগম, মঈন উদ্দিন আহমদ, খোকন কুমার দত্ত, জুবায়ের বখত, নুরে আলম সিরাজী, বিপ্লব কান্তি দে মাধব, সাইফুল হোসেন, মো. গিয়াস উদ্দিন, সজীত কুমার বৈদ্য, এনআইএম মাসুম চৌধুরী, মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, মো. আলমগীর, প্রবাল চৌধুরী, মো. মোহাইমিন চৌধুরী, মো. শাহিনুল ইসলাম, সয়ফুল হোসেন, মো. কামরুল হোসান, শহিদুল হক, জমিরুল হক, আলী মরতুজা ও জয়জীত আচার্য্য।
সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) হয়েছেন অ্যাডভোকেট মো. রাজ উদ্দিন, অতিরিক্ত সরকারি কৌশলী হোসেন আহমদ, মো. আজিজুর রহমান, বিনয় ভূষণ দাস, রিঞ্জন চন্দ্র সরকার।
সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন- অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল কুদ্দুছ, দেবতোষ দেব, মো. শহিদুল ইসলাম, বিপ্রদাস ভট্টাচার্য, ইয়াকুতুল বাছিত, দেবাশীষ কুমার দাস, এএইচএম রুহুল হুদা, সন্তু দাস, দয়াল চন্দ্র দাস, মুহিদুর রহমান তালুকদার, দিলীপ কুমার কর ও মহিউদ্দিন।
আদালত সূত্র জানায়, জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর আদালতসহ অধীনস্থ ৫৫ বিচারালয়ে এসব পিপি, জিপি, অতিরিক্ত পিপি, এপিপিরা দায়িত্ব পালন করবেন। তার মধ্যে জেলা ও দায়রা জজের অধীনে রয়েছে ৪২ বিচারিক আদালত, চারটি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, একটি সাব জজ, সদর ও ১২ উপজেলায় একটি করে সিভিল আদালত, পারিবারিক আদালত ও সার্ভে ট্রাইব্যুনাল, চারটি বিশেষ আদালত, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও ১৩ উপজেলার একটি করে আমলি গ্রহণকারী আদালত (কগনিজেন্স কোর্ট)।
মহানগর দায়রা আদালতের অধীনে বিচারালয় রয়েছে ১১টি। এর মধ্যে একটি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা আদালত, দুটি যুগ্ম দায়রা আদালত, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ছাড়াও মেট্রোপলিটন এলাকার ছয়টি থানার পৃথক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রয়েছে।