কে এম সাইফুল আলম, সুপ্রিম কোর্ট ও খুলনা জজ কোর্টের আইনজীবী। দীর্ঘদিন কাজ করেছেন খুলনার অবহেলিত চিংড়ি শ্রমিকদের আইনি সুরক্ষায়। বেসরকারি সংস্থা ‘আমেরিকান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল লেবার সলিডারিটির (সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশ) লিগ্যাল কাউন্সিলর হিসেবে কাজ করেছেন। চিংড়ি শ্রমিকদের পক্ষে একাধিক মামলা করেছেন, পেয়েছেন সাফল্যও। এতে অনেক শ্রমিক ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন আবার অনেকে পাননি বলে লড়াই করছেন এই আইনজীবী। আর শ্রমিকদের পক্ষে এমন জোরালো ভূমিকা রাখায় চিংড়িশিল্পের শ্রমিকদের স্বার্থ দেখা প্রতিষ্ঠানটিই তাঁকে চাকরিচ্যুত করেছে বলে তাঁর অভিযোগ। এ ঘটনায় শ্রম আদালতে মামলা করেছেন তিনি।
অভিযোগ উঠেছে, বেসরকারি সংস্থাটি শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার কথা বললেও এর স্থানীয় কর্মকর্তারা গোপনে মালিকদের সঙ্গে আঁতাত করেছেন।
আইনজীবীর মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট কে এম সাইফুল আলম সলিডারিটি সেন্টার বাংলাদেশের খুলনা অফিসে লিগ্যাল কাউন্সিলর হিসেবে যোগ দেন। তিনি বেসরকারি সংস্থার আইনজীবী হিসেবে চিংড়িশিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের চাকরিচ্যুতি, কর্মস্থলে হয়রানিসহ তাঁদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি শ্রম আদালতের মাধ্যমে শ্রমিকদের ৩৫ থেকে ৪০টি মামলা পরিচালনা করতেন; যেসব মামলার রায়ে শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষিত হয়। শ্রম আদালত ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের আদেশ দেন। কিন্তু বেসরকারি সংস্থাটি এসব ক্ষতিপূরণ আদায়ে সহযোগিতা করেনি। উল্টো মালিকদের স্বার্থে কাজ করেছে।
কে এম সাইফুল আলম বলেন, শ্রমিকদের পক্ষে কথা বলা ও তাঁদের মামলার রায় বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়ায় তাঁকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ১২ জুলাই সংস্থার খুলনা অফিসে ডেকে নিয়ে সিনিয়র প্রগ্রাম অফিসার জাকিয়া পারভীন ও জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ইরফান আলী অর্থসংকটের কথা বলে সাইফুল আলমকে চাকরিচ্যুত (টার্মিনেশন) করেন। এ ঘটনায় গত সেপ্টেম্বরে সংস্থার কান্ট্রি প্রগ্রাম ডিরেক্টর জন হার্থ্র, সিনিয়র প্রগ্রাম অফিসার অনিন্দিতা ঘোষ, কর্মকর্তা ইরফান আলী ও জাকিয়া পারভীনকে বিবাদী করে খুলনা বিভাগীয় শ্রম আদালতে মামলা করেন সাইফুল। সূত্র- কালের কণ্ঠ