ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগের ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মো. দুরুল হুদার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মাসুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
পরে আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষকে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. দুরুল হুদার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এবং এ অভিযোগ থেকে অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত সাসপেনশনে রাখতে এবং ভিকটিম ছাত্রীর স্কুলে আসা যাওয়া ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আদেশ দিয়েছেন।
পাশাপাশি আদলত রুল জারি করেছেন। রুলের বিবাদীরা হচ্ছেন, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, রাজশাহীর পুলিশ সুপার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, বিশ্বিদ্যালয়ের লিগ্যাল সেলের প্রশাসক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ, রাজশাহীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও অভিযোগ ওঠা শিক্ষক মো. দুরুল হুদা।
এর আগে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ‘শ্লীলতাহানির শিকার মেয়েটি স্কুলে যেতে পারছে না অভিযুক্ত শিক্ষক জামিনে’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনযুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জোবাইদা গুলশান আরা রিট করেন।