স্কুলছাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার দায়ে সাইদুর রহমান ওরফে সাইদ (২০) নামের একজন কলেজ ছাত্রকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তা অনাদায়ে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান।
তিনি বলেন, ‘অভিযুক্তের বয়স এবং ছাত্রত্বের বিষয়টি বিবেচনা করে ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আর কোনও অভিযোগ উঠলে সর্ব্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’
সাইদুর রহমান কল্যাণপুর গ্রামের সাহাজুল ইসলামের ছেলে ও গাংনী পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
জানা যায়, গাংনী উপজেলার করমদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে রাস্তায় মারধর ও ইভটিজিং করার অপরাধে স্থানীয়রা সাইদকে গণধোলাই শেষে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটকিয়ে রাখেন। পরে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির পর তাকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং তা অনাদায়ে ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। সাইদুর রহমানের পিতা সাহাজুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালতে টাকা পরিশোধ করে ছেলেকে মুক্ত করেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মু. আলম হুসাইন জানান, বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী স্কুলে আসার সময় অভিযুক্ত সাইদ বাগানপাড়া এলাকায় ছাত্রীটির পথ আটকিয়ে মারধর শুরু করে।