কুষ্টিয়া দৌলতপুরে কোদালের কোপে নৃশংসভাবে গর্ভধারিণী মা’কে হত্যার দায়ে পিতার করা হত্যা মামলায় পুত্রের মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত জুয়েল সরদার ওরফে জুয়েল রানা (২৮) দৌলতপুর উপজেলার আংদিয়া গ্রামের আজিজুল সরদারের ছেলে।
আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২ টায় জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে সৃষ্ট পারিবারিক কলহের জের ধরে উত্তেজনার এক পর্যায়ে আসামী জুয়েল রানা তার মা বানেরা খাতুন ওরফে বানুকে হাঁসুয়া দিয়ে কুঁপিয়ে জখম করে। এ সময় হাঁসুয়া ভেঙ্গে গেলে পাশে থাকা কোদাল দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত বানেরা খাতুনের স্বামী এবং আসামী জুয়েল রানার পিতা আজিজুল সরদার দৌতলপুর থানায় একমাত্র আসামী জুয়েল রানার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ০১ জানুয়ারী হত্যাকান্ডের দায়ে অভিযোগ এনে দণ্ড বিধির ৩০২ ধারায় আদালতে চার্জশীট দেয় পুলিশ। পরে একই বছরে ১৯ জুনে অভিযোগ গঠন পূর্বক সাক্ষ্য শুনানী ও বিচার কার্য শুরু করেন আদালত।
আদেশের বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী জানান, নিজ গর্ভধারিনী মা’কে নির্মম ভাবে হাঁসুয়া এবং কোদাল দিয়ে কুঁপিয়ে হত্যার মতো হৃদয়স্পর্শী ঘটনা বিজ্ঞ আদালতকেও নাড়া দিয়েছে। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ১৫ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে নিহত মা বানেরা খাতুনের ছেলে আসামী জুয়েল রানার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় হত্যার দায়ে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
পি.এম. সিরাজুল ইসলাম, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি