জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থ উচ্চ মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠ্যবই হিসেবে অন্তর্ভুক্তির পদক্ষেপ গ্রহণ করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম এ নোটিশ প্রেরণ করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নোটিশ প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট তানজিম আল ইসলাম ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জীবনী পাঠই হতে পারে তাঁর আদর্শকে ধারণ করার অন্যতম উৎস। এজন্য গ্রন্থটি পাঠ্যবই হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে এবং কমিটির মতামত নিয়ে বিষয়টি চূড়ান্ত করার জন্য নোটিশের বিবাদীদের অনুরোধ করেছি।
নোটিশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া বিকল্প উপায় থাকবে না বলেও জানান নোটিশ প্রেরণকারী আইনজীবী।
নোটিশে বলা হয়, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে দেশের প্রতিটি নাগরিক অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। জাতির স্বাধীনতা অর্জনে এবং বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র পেতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রয়েছে এক গৌরবগাঁথা সংগ্রামী রাজনৈতিক ইতিহাস। বাংলাদেশের পটভূমি বা ভিত রচনায় তাঁর অবদান প্রতিটি স্তরে স্তরে গাঁথা রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে দৃশ্যমান আয়োজনে নতুন প্রজন্ম তথা উচ্চ মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং তাঁর জীবন পাঠ সংক্রান্ত আয়োজনে ঘাটতি রয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী, তাঁর আদর্শ এবং চেতনার যে শিক্ষা তা সঠিক এবং স্থায়ীভাবে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত ইতিহাস জানতে তাঁর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি হতে পারে একমাত্র নির্ভুল এবং উপযুক্ত পাঠ্য। এ ক্ষেত্রে বইটির কিছু অংশ উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে এবং পুরো বইটি বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে প্রতিটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবই হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হলে নতুন প্রজন্ম এই মহান নেতার সঠিক জীবনী জানতে পারবে, পাশাপাশি তাঁর আদর্শগুলো ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গঠনে উদ্বুদ্ধ হতে পারবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।