হিন্দুত্ববাদী তাণ্ডব নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও পুলিশের সমালোচনা করার পর দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরালিধরকে বদলি করা হয়েছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাকে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে বদলির নোটিশ জারি করেছে ভারত সরকার।
বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ঘিরে দিল্লিতে শুরু হওয়া হিন্দুত্ববাদী তাণ্ডবে গত চারদিনে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৭ জন প্রাণ হারিয়েছে। হিন্দুত্ববাদী বিজেপি নেতাদের ঘৃণাবাদী বক্তব্য ও উসকানির জেরে শুরু হয় এই তাণ্ডব। অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকার ও পুলিশ এই সহিংসতা ঠেকাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি। এমন অবস্থায় বুধবার পুলিশকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরালিধর।
ঘৃণাবাদী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে দিল্লি পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারপতি মুরালিধর। তিনি বলেন, আরেকটি ১৯৮৪-এর মতো পরিস্থিতি ঘটতে দিতে পারেন না আদালত। উসকানিমূলক বক্তব্যের ভিডিও পর্যালোচনা করে বৃহস্পতিবারের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কমিশনার আমুলিয়া পাটনায়েককে নির্দেশ দেন তিনি। সুনির্দিষ্টভাবে বিজেপির তিন নেতা অনুরাগ ঠাকুর, কপিল মিশ্র ও পারভেশ ভার্মার ঘৃণাবাদী বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি নাগরিকদের নিরাপত্তা, ২৪ ঘণ্টা হেল্পলাইন, পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেন তিনি।
বুধবার দিনের বেলায় এমন কঠোর সমালোচনার পর রাতেই বিচারপতি মুরালিধরকে বদলি করে নোটিশ জারি করে ভারতের বিজেপি সরকার। তবে সরকারি কর্তৃপক্ষের দাবি, সুপ্রিম কোর্ট গত ১২ ফেব্রুয়ারি ওই বিচারপতিকে বদলির সুপারিশ করেছে।
১৯৮৪ সালে চেন্নাইয়ে আইন প্রাকটিস শুরু করেন এস মুরালিধরন। ১৯৮৭ সালে দিল্লিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট ও দিল্লি হাইকোর্টে প্রাকটিস শুরু করেন। ২০০৬ সালে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগ করা হয় তাকে।