শ্লীলতাহানির অভিযোগে রাজধানীর দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেনসহ ১০ পুলিশের সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৪ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক সামসুন্নাহারের আদালতে মামলাটি করেন ৪৩ বছর বয়সী এক নারী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশগনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন— দক্ষিণখান থানার ওসি শিকদার মো. শামীম হোসেন, উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল কাদির, আরিফ হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. আ. রুপ, নুরুল ইসলাম, কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম, জয়েন উদ্দিন, মো. তৌফিক, রুনা আক্তার ও ইয়াসমিন আক্তার এবং সৎ মা মার্জিয়া আক্তার (পুতুল)।
মামলার বাদীর আইনজীবী ইমরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাদীর সঙ্গে তার সৎ মায়ের ছেলে ইকবাল হোসেনের (সজল) জমি-জমা নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা চলছে। সম্প্রতি আদালত মার্জিয়া আক্তারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। এটা জানতে পেরে বাদী ও তার পরিবারকে উচ্ছেদের জন্য ফ্ল্যাটে ছুটে যান মার্জিয়া।
জানা যায়, ওসি শিকদার মো. শামীম হোসেন মামলা সম্পর্কে অবগত থাকা অবস্থায় মার্জিয়ার কাছ থেকে উৎকোচ গ্রহণ করে বাদীর বাসায় দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। ওসি বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বাদীর পোশাক খুলে বিবস্ত্র করে বুকে, পেটে, যৌনাঙ্গে চাপাচাপি করে লাঞ্ছিত করে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করে, এসআই আবদুল কাদির বাদীকে নির্যাতন করে। ওসি সেখানে উপস্থিত এক সাক্ষীকেও শ্লীলতাহানি করে। বাদী এবং সাক্ষীকে তখনই বের হয়ে যেতে বলেন ওসি। বের না হলে তাদের গণধর্ষণের হুমকি দেয়। এ সময় বাদীর ১১ বছরের কন্যা চিৎকার করলে ওসি মামলার তিন নম্বর সাক্ষীর গালে জোরে থাপ্পড় মেরে রক্তাক্ত করে। বাদীর স্বামী ও ২ নং সাক্ষীর স্বামী মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে থাকাবস্থায় ওসির নির্দেশে অপর সকল পুলিশ সদস্য তাদের মোবাইল কেড়ে নেয় এবং তাদের মারধর করে।