ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী:
ক্লারা জেটকিন, রোসা লুক্সেমবার্গ এর দেশেও নারীর ক্ষমতায়নে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রশংসা এবং তাকে অনুপ্রেরণাদাত্রী হিসেবে দেখা হয়। নারী দিবসে নারীকে এগিয়ে দিতে, এগিয়ে নিতে, আমাদের পুরুষদের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের মা, বোন, স্ত্রী, আত্মীয়, বন্ধু, শিক্ষিক, নেতা, আরো অনেক ক্ষেত্রে নারীর অবদান কি আমরা কখনো অগ্রাহ্য করতে পারবো? আমরা যারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মী তারা কি জানি আমাদের দলের ক্রান্তিলগ্নগুলোতে আমাদের নারী নেতৃত্ব সুদৃঢ় ইস্পাত কঠিন ভূমিকা রেখে ছিলো বলেই আজকের দল এই পর্যায়ে এসেছে? আমরাই বাংলাদেশে একমাত্র রাজনৈতিক দল যাদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দুই জনই ছিলেন নারী, ১৯৮৭ এর কাউন্সিলে- সভাপতি দেশরত্ন শেখ হাসিনা; সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। আমাদের দলের কঠিন সময় গুলোর নেতৃত্বে ছিলেন জোহরা তাজউদ্দিনের মত নেতা। এই কিছুদিন আগেও এক এগারোর সময়ে মতিয়া চৌধুরী, ডা. দীপু মনি, ফরিদুন্নাহার লাইলিসহ আরো অনেক নারীর সাহসী ভূমিকাও আমরা দেখেছি, দেখেছি বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ রেহানার দৃপ্ত সাহসী ভূমিকা, যার কারনে আমরা কঠিন সময় পেরিয়ে বিজয়ের মালা ছিনিয়েছিলাম। তাই আমাদের দলও নারীদের প্রতি চিরঋণী হয়ে থাকবে। নারী দিবসে আসুন অঙ্গীকার করি সম্মান আর আত্মমর্যাদা নিয়ে আমাদের নারীরা এগিয়ে যাবেন, জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু। এগিয়ে যাক নারী! এগিয়ে যাক বাংলাদেশ।
লেখক: শিক্ষা উপমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার