ড. মোঃ শহীদুল ইসলাম:
মাত্র কয়েকদিন পূর্বে ২১শে ফেব্রুয়ারি, ভাষা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হলো। আর আজ (১৭ মার্চ, বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী, মুজিববর্ষ। বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি। শ্রদ্ধা জানাই ভাষাশহীদসহ সকল শহীদদের প্রতি।
“মোদের গরব মোদের আশা আ-মরি বাংলা ভাষা।” অতুল প্রসাদ সেনের এ কথা প্রতিটি বাঙালির মনের কথা-প্রাণের কথা, মা, মাটি আর মানুষের কথা।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে লিখেছেন, “আজও আশা করে আছি পরিত্রাণ কর্তা আসবে সভ্যতার দৈববাণী নিয়ে, চরম আশ্বাসের কথা শুনাবে পূর্ব দিগন্ত থেকেই।” বাঙালির ভাগ্যাকাশে সেই ত্রাণকর্তা হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ধর্মভিত্তিক ভিন্ন দুই ভূখণ্ডে পাকিস্তান নামে এক অদ্ভুত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরই তৎকালীন পাকিস্তানী শাসকদের বাংলা শোষণের মনোভাব প্রকাশ পায়। তারা উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করতে চায়। তখন কিছু সংখ্যক উদারমনা রাজনীতিবিদ এর বিরুদ্ধে আন্দোলন ও সংগঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৪৭ সালেই তাঁরা একটি সম্মেলন করেন। ঐ সম্মেলনে মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব করা হয়। এ প্রসঙ্গে ভাষাসৈনিক গাজীউল হক তাঁর ‘ভাষা অন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা’ গ্রন্থে বলেন- “সম্মেলনের কমিটিতে গৃহীত প্রস্তাবগুলো পাঠ করেন সেদিনের ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান।”
ঐ সালের ডিসেম্বর মাসে ১৪ জন ভাষাবীর মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করাসহ ২১ দফা দাবী সম্বলিত সর্বপ্রথম এক ঐতিহাসিক ইশতেহার প্রণয়ন করলে বঙ্গবন্ধু তাতে অন্যতম স্বাক্ষরদাতা ছিলেন।
ভাষা আন্দোলনের প্রথম পর্ব, ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষার দাবীতে সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়। ঐ কর্মসূচীতে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে তরুণ নেতা শেখ মুজিব গ্রেফতার হন। বঙ্গবন্ধু তাঁর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে ঐ দিনের ঘটনার বর্ণনায় লিখেছেন, “—আমি জেনারেল পোস্ট অফিসের দিক থেকে নতুন কর্মী নিয়ে ইডেন বিল্ডিংয়ের দিকে ছুটছি—আমাদের উপর কিছু উত্তম মধ্যম পড়ল এবং ধরে নিয়ে জীপে তুলল।— বহু ছাত্র গ্রেফতার হল।—কয়েকজন ছাত্রীও মার খেয়েছিল।—” (আত্মজীবনী পৃ. ৯২-৯৩)।
১৯৪৮ সালে ১৯ মার্চ পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় আসার পর তিনি রেসকোর্স ময়দানসহ দুইটি সভায় ঘোষণা করেন যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এ ঘোষণা শুনার পরই বাংলার ছাত্র-জনতা তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে, হাত তুলে জানিয়ে দিল- ‘মানি না, মানি না’। তাদের মধ্যে তরুণ নেতা শেখ মুজিব ছিলেন অন্যতম।
১৯৪৮ সাল থেকে মাতৃভাষার আন্দোলন চলতে থাকে। ১৯৫০ সালের ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠনের মাধ্যমে সকলের অংশগ্রহণে ভাষা আন্দোলন আরো তীব্র আকার ধারণ করে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ নেয়। ভাষার দাবীতে আন্দোলনকারীদের মিছিলে তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী গুলি চালালে শহীদ হন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরো অনেকে। আহত হন অসংখ্য আন্দোলনকারী। ভাষার জন্য এ আত্মত্যাগ পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু জেলে ছিলেন। কারাবন্দী থেকেই তিনি ভাষা অন্দোলনকে বেগবান করার জন্য চিরকুটের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের কাছে নির্দেশ পাঠাতেন। আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী, গাজীউল হকসহ বিভিন্ন ভাষাসৈনিকদের অনেক প্রবন্ধে তা বার বার লেখা হয়েছে। ঐ সময় বঙ্গবন্ধু কারান্তরীণ অবস্থায় সহ-রাজবন্দি মহিউদ্দিন আহমেদকে সাথে নিয়ে আমরণ অনশন শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর আত্মজীবনীতে ঐ অনশনের বর্ণনায় বলেন- “এ সময় আমাদের অবস্থা এমন পর্যায়ে এসেছে যে, যেকোন মুহূর্তে মৃত্যুর শান্তি ছায়ায় চিরদিনের জন্য স্থান পেতে পারি। সিভিল সার্জন সাহেব দিনে পাঁচ-সাত বার আমাদের দেখতে আসেন। ২৫ তারিখ সকালে যখন আমাকে তিনি পরীক্ষা করছিলেন হঠাৎ দেখলাম তার মুখ গম্ভীর হয়ে গেছে। তিনি কথা না বলে মুখ কালো করে বেরিয়ে গেলেন। আমি বুঝলাম আমার দিন ফুরিয়ে গেছে। কিন্তু পরে আবার তিনি ফিরে এসে বললেন, “এভাবে মৃত্যুবরণ করে কি লাভ হবে? বাংলাদেশ আপনার কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করে।” আমার কথা বলতে কষ্ট হয়, আস্তে আস্তে বললাম, “অনেক লোক আছে। কাজ পড়ে থাকবে না। দেশকে, দেশের মানুষকে ভালবাসি, তাদের জন্যই জীবন দিতে পারলাম, এই শান্তি।” (আত্মজীবনী পৃ. ২০৪)। বঙ্গবন্ধুর এ মর্মস্পর্শী বর্ণনায় এই অভিব্যক্তি ফুটে ওঠেছে যে, তিনি দেশকে, দেশের মানুষকে এবং মাতৃভাষা বাংলাকে ভালোবেসে মৃত্যুবরণ করলেও শান্তি পেতেন।
আজীবন ভাষাপ্রেমী বঙ্গবন্ধু পরবর্তীতে আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হয়ে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা এবং এর মর্যাদা রক্ষায় অবিস্মরণীয় ভূমিকা রাখেন। এ ভাষা আন্দোলন থেকেই বাঙালি জাতির স্বাধিকার অন্দোলনের গোড়াপত্তন হয়। যার ধারাবাহিকতায় ১৯৬৬ সালে বাঙালির মুক্তিসনদ বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা, ছাত্রদের ২১ দফা দাবীর আন্দোলন চলে। ঊনসত্তরের উত্তাল গণআন্দোলনের তীব্রতায় তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে ষড়যন্ত্রমূলক আগরতলা মামলা হতে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়। কিন্তু পাকিস্তানী শাষকগোষ্ঠী নির্বাচনের ফলাফলে ভীত হয়ে তাদের ক্ষমতা হারানোর ভয়ে নানা ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটতে থাকলে বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। বঙ্গবন্ধুর নিদের্শেই তখন দেশ চলতে থাকে।
ঐ পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ প্রদান করে ঘোষণা দেন, ‘—এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।—’ ঐ ভাষণে সংগ্রাম সফল করতে যা যা করণীয় সে সম্বন্ধে সুর্নিদিষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। বাংলার মানুষ তার ঐ ভাষণ মন্ত্রমুগ্ধ (spell bound) হয়ে শুনে। বঙ্গবন্ধু পুরো জাতিকে সংঘবদ্ধ করেছিলেন। ঐ ভাষণটি পর্যালোচনা করলেই বুঝা যায় তা মূলত স্বাধীনতার ঘোষণা। পরে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
জেকব এফ. ফিল্ড এর ‘WE SHALL FIGHT ON THE BEACHES’ গ্রন্থের বিশ্বের ৪০টি শ্রেষ্ঠ ভাষণের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটি অন্যতম। লন্ডনের সানডে টাইমস পত্রিকায় বঙ্গবন্ধুকে Poet of Politics (রাজনীতির কবি) হিসেবে আখ্যায়িত করে। গুরুত্ব বিবেচনায় জাতিসংঘের ইউনেস্কো ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর এ ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার দামাল বীর সন্তানেরা সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ভারতের মিত্রবাহিনীর সহায়তায় আধুনিক অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানী পেশাদার সশস্ত্র বাহিনীকে পরাজিত করে মাত্র ৯ মাসেই, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশকে স্বাধীন করে। জন্ম হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। এ স্বাধীনতা অর্জিত হয় ৩০ লক্ষ শহীদদের রক্ত ও বাংলার লক্ষ লক্ষ নারীদের সম্ভ্রমের বিনিময়ে।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিশ্বের চাপে পাকিস্তানীরা বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরে কাজ শুরু করেন। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের সংবিধান রচিত হয়। বঙ্গবন্ধু ছিলেন আজীবন ভাষাপ্রেমী। তাই সংবিধানের ৩ অনুচ্ছেদে সন্নিবেশিত করেন- ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা।’ ১৯৭৪ সালে ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনে প্রথমবারের মতো বাংলায় ভাষণ দিয়ে বাংলাকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেন।
বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ফ্রান্সের প্যারিসে ইউনেস্কোর ৩০তম অধিবেশনে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করা হয়। কী এক অবিস্মরণীয় সংযোগ! বঙ্গবন্ধু বিশ্বের দরবারে বাংলাকে তুলে ধরেন। আর তাঁরই সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বস্বীকৃতি আদায় করে বাংলা ভাষাকে বিশেষ মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেন।
বঙ্গবন্ধুর আজীবন স্বপ্ন ছিল দেশকে সোনার বাংলায় প্রতিষ্ঠিত করা। তাই বাংলা ভাষা, বাঙালির কল্যাণ ও দেশের স্বাধীনতার জন্য মোট ২১ বার গ্রেফতার হয়ে বঙ্গবন্ধুকে তাঁর জীবনের ৪ হাজার ৬৮২ দিন কারা ভোগ করতে হয়। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী তাঁর কণ্ঠরোধের জন্য বার বার তাঁকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানোর অপপ্রচেষ্টা চালায়।
বিবিসি হাজার বছর ধরে বাঙালি জাতির ইতিহাসে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি খুঁজে বের করতে ২০০৪ সালে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত এক জরিপ পরিচালনা করে। ঐ জরিপের মনোনয়নে মোট ১৪০ জনের নাম আসে। তাদের মধ্যে ২০ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। বিশ্বব্যাপি অবস্থানরত বাঙালিদের আধুনিক পদ্ধতির ঐ ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অমূল্য অবদানের জন্য বিবিসি বাংলা ২০০৪ সালের ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে যথার্থই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে ঘোষণা করে (উইকিপিডিয়া)।
বাঙালির স্বার্থ রক্ষার মূর্ত প্রতীক ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি পুরো জাতিকে সংঘবদ্ধ করেছিলেন। তিনি সবসময় দেশকে নিয়ে ভেবেছেন, সাধারণ মানুষের কথা বলেছেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল শোষণমুক্ত, বঞ্চনামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার। তাঁর জীবনাদর্শ ছিল বাঙালির মুক্তি, মানুষের মুক্তি। জীবনের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর ভিশন ছিল বাংলাদেশকে স্বাধীন করা। বঙ্গবন্ধু সারা বিশ্বের মানুষের কাছে স্বাধীনতার প্রেরণা। তাই বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, তিনি একজন বিশ্বনেতা।
পঁচাত্তরের নিষ্ঠুর অধ্যায়ের সৃষ্টি না হলে অনেক আগেই সুখী-সমৃদ্ধশালী হতো বাংলাদেশ। তাই সবাইকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করতে হবে। সমতা প্রসারিত হলেই বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানানো হবে। বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে অনুসরণ করলে দেশ, জাতি, সমাজ, রাষ্ট্র, ব্যক্তি সবারই কল্যাণ সাধিত হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন হলে প্রতিষ্ঠিত হবে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গি মুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।
ভাষা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস যতদিন, যতবার লেখা হবে, পড়া হবে, ততদিন, ততবার বঙ্গবন্ধু বারবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। তাই মুজিব বর্ষের শুরুতেই মহান জাতির মহান নেতা এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি আবারো জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। সফল হোক, সার্থক হোক মুজিববর্ষ।
লেখক: অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট; সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, বাংলাদেশ।