করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে কমপক্ষে দুই সপ্তাহের জন্য কেবল মাত্র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কার্যক্রম চলমান রেখে অবশিষ্ট সব কার্যক্রম মুলতবি করতে প্রধান বিচরপতির অনুরোধ ও আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ আইন সমিতি।
আজ শনিবার (২১ মার্চ) আইন সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক কেশব রায় চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ ও আহ্বান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে স্বীকৃত নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ এড়াতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে আপনার (প্রধান বিচারপতি) সময়োচিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলস্বরূপ ১৯ মার্চ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগ, ঢাকা (প্রশাসন শাখা) কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিমূলে দেশের অধস্তন আদালতসমূহে আসামিদের জামিন শুনানিকালে এবং মামলার অন্য কার্যক্রমে কারাবন্দি-আসামিদের আদালতে হাজির না করা এবং এরূপ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে মামলার কার্যক্রম মুলতবি করার নির্দেশ প্রদানের জন্য বাংলাদেশ আইন সমিতির পক্ষ থেকে আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আপনার সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে ১৯ মার্চ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগ, ঢাকা (প্রশাসন শাখা) কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিমূলে জারিকৃত নির্দেশও নিশ্চয়ই জনসমাগম এড়ানোর লক্ষ্যেই করা হয়েছে বলে আমাদের বিশ্বাস। কিন্তু দেশের অধস্তন আদালতসমূহে প্রতিদিন যে সংখ্যক কারাবন্দি-আসামিদের কারগার থেকে আদালতে উপস্থাপন করা হয় তা তুল্যবিচারে খুবই নগন্য। বরঞ্চ উক্ত আদালতসমূহে প্রতিদিন যে বিপুলসংখ্যক বিচারপ্রার্থী-জনগণ ও আইনজীবী-সহ সংশ্লিষ্টদের জনসমাগম হয় তার সংখ্যা কারাবন্দি-আসামিদের তুলনায় কয়েক শ গুণ বেশি। আর ঢাকা ও চট্টগ্রামের অধস্তন আদালতসমূহে তো প্রতিদিন লক্ষাধিক লোকের জনসমাগম হয়, যা এই মুহূর্তে আদালতসংশ্লিষ্ট সবার জন্যই বড় একটা উদ্বেগের বিষয়।
‘এমতাবস্থায় মাননীয় প্রধান বিচারপতি আমরা বাংলাদেশ আইন সমিতির পক্ষ থেকে এই মুহূর্তে কমপক্ষে পরবর্তী দুই সপ্তাহের জন্য কেবলমাত্র ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসমূহে জামিন ও রিমান্ড শুনানির মতো অপরিহার্য বিষয়সমূহের ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে অধস্তন আদালতসমূহের কার্যক্রম চলমান রেখে অবশিষ্ট সব কার্যক্রম মুলতবি রাখার নির্দেশনা প্রদানের জন্য আপনাকে অনুরোধ ও উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’