দেশে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে এবং এ সংক্রান্ত গুজব বন্ধে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করতে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে। ওই বিশেষ অনুষ্ঠানে করোনা ঝুঁকিতে থাকলে করণীয় সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রসহ যাবতীয় পরামর্শ প্রদান করবেন যা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনসহ সকল বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিওতে প্রচার করতে হবে।
আজ রোববার (২২ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জমান লিংকন রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ প্রেরণ করেন। নোটিশে স্বাস্থ্য ও তথ্য সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ইতোমধ্যে মহামারী আকার ধারণ করেছে। প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশেও এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। যদিও করোনা ভাইরাস রোধে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তবুও জনমনে এ নিয়ে নানা বিভ্রান্তি রয়েছে।
নোটিশে আরও বলা হয়, নতুন এই ভাইরাসটির ক্ষতি সাধারণ মানুষের অজানা। ফলে অজ্ঞতাপ্রসূত করোনা নিয়ে নানা ধরণের মনগড়া তথ্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসহ অন্যান্য মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। যা গণমানুষের মধ্যে বিপ্রতীপ প্রভাব ফেলছে এবং মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে। এজন্য করোনা ভাইরাস রোধে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনসহ সকল বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিওতে সচেতনতামূলক তথ্যনির্ভর বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করা একান্ত জরুরী। পাশাপাশি এ রোগের চিকিৎসা সংক্রান্ত গুজব বন্ধেও প্রয়োজন কার্যকরী পদক্ষেপ।
নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জমান ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ইতোমধ্যে সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ করাসহ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আক্রান্ত এলাকা লক ডাউন করেছে। পাশপাশি সকল প্রকার জনসমাগম বলতে গেলে নিষিদ্ধ। বিদেশফেরতরা হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে স্বপ্নে পাওয়া ওষুধ, থানকুনি পাতায় করোনা নিরাময় সংক্রান্ত গুজব অব্যাহত আছে।
আইনজীবী মনিরুজ্জমান আরও বলেন, হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে এসব গুজব বিশ্বাস করছে। আবার চিকিৎসা উপকরণসহ প্রয়োজনীয় নানা সুযোগ-সুবিধা না থাকায় চিকিৎসকরাও বিপুল সংখ্যক রোগীর চিকিৎসা করাতে সক্ষম নন। এজন্য রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলসহ সকল চ্যানেল ও রেডিওতে সচেতনতামূলক তথ্য ও চিকিৎসা সক্রান্ত পরামর্শ একযোগে প্রচার করা হলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।
‘ওই বিশেষ অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা করোনা ঝুঁকিতে থাকলে করণীয় সম্পর্কে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রসহ যাবতীয় পরামর্শ প্রদান করবেন যা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনসহ সকল বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিওতে প্রচার করতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে নোটিশ প্রেরণ করেছি। আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে।’ যোগ করেন তিনি।