দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের বিস্তারের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী জামিন ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়া নিম্ন আদালতের অন্যান্য বিচারকাজ মুলতবি রয়েছে। যার কারণে নিম্ন আদালতে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীর সংখ্যা তুলনামূলক কমেছে।
সরজমিনে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়ারির ম্যাজিস্ট্রেট, মহানগর দায়রা, বিশেষ জজ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালসহ অন্যান্য আদালত পর্যবেক্ষণ করে আইনজীবী ও বিচার প্রার্থীর ভিড় কম দেখা গেছে।
এ বিষয়ে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এর পেশকার মো. আমিনুল ইসলাম জানান, উচ্চ আদালতের আদেশ আসার পর বিচারকাজ সীমিত করে দিয়েছেন বিচারকরা। এখন শুধু জামিন ও বিশেষ কিছু শুনানি ছাড়া অন্যান্য মামলার ক্ষেত্রে নতুন করে তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত অন্যান্য মামলার কাজের জন্য নতুন তারিখ পড়বে।
সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চসহকারী পারভেজ ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে কোর্টে মুলতবি ঘোষণা করা উচিত। কারণ হিসাবে তিনি আরও জানান, এখানে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের সমাগম হয়। যার ফলে করোনা সংক্রান্ত ছাড়ানোর সম্ভাবনা বেশি থেকে যায়। সতর্কতার চিন্তা করে কোর্ট বন্ধ রাখা উচিত।
নিম্ম আদালত আইনজীবী আবু তাহের রনি জানান, ‘করোনা নিয়ে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, খুব শিগগিরই যদি আদালত বন্ধ ঘোষণা না হয়, ভবিষ্যতে অনেক খারাপ দিকে চলে যাবে। তাই অবিলম্বে নিম্ন আদালত কিছুদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।’
এর আগে, গত ২২ মার্চ সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সাকুলারে বলা হয়, আদালতসমূহে জামিন, অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ও জরুরি বিষয় ছাড়া অন্যান্য বিষয় যৌক্তিক সময়ের জন্য সীমিত করার নির্দেশ দেওয়া হলো।