সারাদেশে চিকিৎসক ও চিকিৎসা সেবার সাথে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মানসম্মত পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) নিশ্চিত করার জন্য আইনী নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান লিংকন। ডাকযোগ বন্ধ থাকায় তিনি আজ সোমবার সকালে সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে ইমেইলে এই নোটিশ পাঠান।
তিনি নোটিশে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং করোনা সেলের প্রধানকে এই নোটিশ দিয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে চিকিৎসকদের জন্য মানসম্মত পিপিই’র ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা তো এখন একটা ক্রান্তিকালের মধ্যে আছি। এখন সবাই পিপিইটা তৈরি করছে। মনে হচ্ছে যেন আমরা সবাই এটি তৈরিতে এক্সপার্ট। কিন্তু একটা ডেডিকেটেড পিপিই’র জন্য যে যে রেকোয়ারমেন্ট দরকার। কারণ, আমি যখন একজন চিকিৎসাকর্মী আমি যেটা পাচ্ছি সেটা পরেই সেবা দিচ্ছি। কিন্তু আমি যার উপরে নির্ভর করছি সেটা যদি আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারে তাহলে তো এটা ভয়াবহ অবস্থা হবে। এটা কিন্তু হচ্ছেও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছেন, ১০ ভাগ চিকিৎসক-নার্স এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তারা এই সেফটি মেজারস নেয়ার পরেও আক্রান্ত হচ্ছেন। তার মানে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছেনা। এই জন্য যারা করছে, তাদেরকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। পাশাপাশি আমরা চাইছি কোয়ালিটিটা যেন কন্ট্রোল করা হয়। অর্থাৎ যে যোদ্ধাদের হাতে আমরা অস্ত্রটা দিচ্ছি সেই অস্ত্রটা যেন কর্মক্ষম অস্ত্র হয়। অস্ত্র টা যেন ভোতা না হয়। যাতে করে সে যেটার উপর কনফিডেন্স করল পরে নিজেই আত্মঘাতী হয়ে গেল।
নোটিশে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখা গেছে, ব্যাপক চাহিদার কারণে আমাদের বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান পিপিই তৈরি করছে। যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। কিন্ত প্রশ্ন হলো পিপিইতে সংক্রমণ প্রতিরোধের যেসব ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন সেটি নিশ্চিত করা হচ্ছে কিনা!
নোটিশে সাতদিনের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।