বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

‘নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয় বিবেচনায় স্বল্প পরিসরেও আদালত পরিচালনা সমীচীন হবে না’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত উদ্ভূত সংকটময় পরিস্থিতিতে আদালত প্রাঙ্গণে সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয় বিবেচনায় স্বল্প পরিসরেও আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করা সমীচীন হবে না। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আজ শনিবার প্রকাশিত এক স্মারকে এ তথ্য জানা গেছে।

বল্প পরিসরে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনাসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে প্রধান বিচারপতি আজ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই সিদ্ধান্ত হয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমনজনিত (কোভিড-১৯) সংকটকালে ছুটির সময়ে স্বল্প পরিসরে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা না করা এবং জামিন/অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা/স্থিতাবস্থা/স্থগিতাদেশ বর্ধিতকরণবিষয়ক স্মারকে বলা হয়, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলা এবং এর বিস্তার রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সব আদালতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমনজনিত (কোভিড-১৯) সংকটকালে ছুটির সময়ে স্বল্প পরিসরে আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা না করা এবং জামিন/অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা/স্থিতাবস্থা/স্থগিতাদেশ বর্ধিতকরণবিষয়ক স্মারকে বলা হয়, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলা এবং এর বিস্তার রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সব আদালতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।’

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত ওই স্মারকে বলা হয়, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে বর্ণিত বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করেছেন। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয় যে স্বল্প পরিসরেও আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হলে আদালত প্রাঙ্গণে বিচারক, আইনজীবী, আদালতের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনজীবী সহকারীসহ মামলা–সংশ্লিষ্ট পক্ষ ও তদবির কারকগণের উপস্থিতি আবশ্যক। করোনাভাইরাসের সংক্রমণজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতির সংকটময় সময়ে আদালত প্রাঙ্গণে সংশ্লিষ্ট সবার নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয় বিবেচনায় স্বল্প পরিসরেও আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করা সমীচীন হবে না।’

ইতিপূর্বে ৪ এপ্রিল জারি করা বিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতা উল্লেখ করে স্মারকে আরও বলা হয়, ‘যেসব ফৌজদারি মামলায় আসামিকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জামিন প্রদান করা হয়েছে বা যেসব মামলায় উচ্চ আদালত হতে অধস্তন আদালতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণের শর্তে জামিন প্রদান করা হয়েছে বা যেসব দেওয়ানি মামলায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা/স্থিতাবস্থা/স্থগিতাদেশের আদেশ প্রদান করা হয়েছে, সেসব মামলার আদেশের কার্যকারিতা আদালত খোলার তারিখ হতে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত বর্ধিত হয়েছে মর্মে গণ্য হবে।’

স্মারকের শেষাংশে বলা হয়, ‘উল্লেখ্য, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় দেশের প্রত্যেকটি জেলায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ও মেট্রোপলিটন এলাকায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জরুরি মামলার জন্য এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট কর্তব্যরত আছেন।’