বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীকে হামলা: এসআই-সহ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়ার নির্দেশ

সুপ্রিম কোর্টের এক নারী আইনজীবী ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমানসহ অপরাপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে কাফরুল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে আদেশে।

মঙ্গলবার (৯ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। পুলিশের হামলার শিকার আইনজীবী ফরহাত জাহান শিরিনের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন আদালত। আদালতে রিট আবেদনকারীপক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আমি নিজে কাফরুল থানার ওসিকে ফোন করে আইনজীবীর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা নিতে বলেছিলাম। কিন্তু ওসি মামলা নেয়নি। এরপর অ্যাডভোকেট শিরিনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. আবু ওবায়েদ হোসেন হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। আমরা আইনজীবী হিসেবে শুনানি করেছি। আদালত মামলা নিতে ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

রিটের বিষয়ে আইনজীবী ড. আবু ওবায়েদ হোসেন বলেন, প্রথমে আমরা মামলা এজাহার করার জন্যে সংশ্লিষ্ট থানায় আবেদন করেছিলাম। কিন্তু তারা অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি। পরে মামলা গ্রহণ করার বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করি। আদালত শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন।

বিবাদীরা হলেন, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), মিরপুর জোনের কমিশনার ও কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ‍(ওসি)।

জানা যায়, মিরপুর ১৩ নম্বরের এ ব্লকের ১০/১ নম্বর লেনের ৫৩/৭ নম্বর বাড়ির জমির মালিক অ্যাডভোকেট ফরহাত জাহান শিরিন ও তার পরিবার। আর এসআই মোস্তাফিজুর রহমান এই জমির ওপর গড়ে ওঠা বাসার একটি ফ্লাটের মালিক। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধের জের ধরে গত ৫ জুন সন্ধ্যায় বাসায় হামলার শিকার হন অ্যাডভোকেট ফরহাত জাহান শিরিন।

অ্যাডভোকেট ফরহাত জাহান শিরিনের অভিযোগ, এসআই মোস্তাফিজুর রহমানসহ তার কয়েকজন আত্মীয় ও ১৫-২০ জন লোক নিয়ে গত ৫ জুন সন্ধ্যায় হামলা চালান। এতে তিনি, তার স্বামী ও সন্তান মারাত্মক আহত হন। ওই ঘটনার পর তিনি কাফরুল থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মামলা নেননি। উল্টো আপসের কথা বলে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিতে চাপ দেন। এ অবস্থায় বিষয়টি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিনকে জানান। এরপর ওই দুইজন আইনজীবী নেতা কাফরুল থানার ওসিকে ফোন করে মামলা নেয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি মামলা না নিয়ে গড়িমসি করছেন। এ অবস্থায় তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন।