বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নমুনা গ্রহণের পর দ্রুত পরীক্ষা করে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে।
জনস্বার্থে আজ রোববার (২৮ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি জেবিএম হাসানের ভার্চুয়াল বেঞ্চে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান লিংকন ই-মেইলে রিটটি করেন।
রিট করার বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান লিংকন ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, ‘করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার আগে তিনি নিজেই জানেন না তিনি আক্রান্ত কি-না। তাই তাৎক্ষণিক নমুনা সংগ্রহ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে টেস্টিং কার্যক্রম শেষে রিপোর্ট প্রদান করলে আক্রান্ত ব্যক্তি আরও অর্ধশত লোককে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে না। রিপোর্ট পজিটিভ হলে আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেই সাবধানে থাকবেন। তাই টেস্ট করার পর দ্রুত রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনটি করা হয়েছে।’
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে সারাদেশে করোনাভাইরাসে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে প্রতি জেলা শহরে পিসিআর ল্যাব না থাকায় জেলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে অন্য জেলায় পাঠানো হচ্ছে এবং রিপোর্ট আসতে অনেক ক্ষেত্রে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লেগে যাচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে কোনো ব্যক্তি সংক্রমিত কি-না, তা চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে না। ইতোমধ্যে যদি কেউ সংক্রমিত হয়ে থাকেন তাহলে তার ক্ষেত্রে আইসোলেশন বা তার চিকিৎসার সুযোগ তৈরি হচ্ছে না, যার ফলে এই ভাইরাসের ব্যাপক বিস্তারের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
‘যেহেতু আইসোলেশনে থাকা এই সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধের একমাত্র পদ্ধতি, সেক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে যদি চিহ্নিত করা না যায় যে, তিনি সংক্রমিত কি-না, তাহলে ওই ব্যক্তি সাধারণভাবে চলাফেরা করার কারণে অধিক সংখ্যক মানুষের সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। তাই এই মুহূর্তে সবথেকে জরুরি তাৎক্ষণিকভাবে রোগীকে চিহ্নিত করা এবং তা দ্রুত পরীক্ষার মাধ্যমেই সম্ভব।’
রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে বিবাদী করা হয়েছে।
এর আগে গত ৬ মে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান এই আইনজীবী। নোটিশ পাওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতি জেলায় করোনা শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করে আজ রিট করা হলো।