সিকদার গ্রুপের এমডি রন হক সিকদার ও তাঁর ভাই দিপু হক সিকদার

আগাম জামিন চাইতে এসে ১০ হাজার পিপিই জরিমানা, আবেদন খারিজ

বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) দুজনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় বিদেশ থেকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিন চেয়ে সিকদার গ্রুপের এমডি রন হক সিকদার ও তাঁর ভাই দিপু হক সিকদারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার (২০ জুলাই) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন।

একইসঙ্গে এ ধরনের আত্মসমর্পণ ও জামিন আবেদন ‘বিধিবহির্ভূত’ উল্লেখ করে আদালতের সময় নষ্ট করার কারণে দুই ভাইকে ১০ হাজার ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) জরিমানা করেছেন আদালত। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে তাদের এই পিপিই জমা দিতে হবে।

আদালতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট আজমালুল হোসেন কিউসি, আব্দুল বাসেত মজুমদার ও এএম আমিন উদ্দিন। এসময় বিদেশ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই ভাই ভার্চ্যুয়াল কোর্টে আত্মসমর্পণ করেন।

এর আগে, এক্সিম ব্যাংকের এমডি ও অতিরিক্ত এমডিকে আটক ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় রন হক সিকদার ও দিপু হক সিকদার আগাম জামিন চেয়ে আবেদন দেন। আগাম জামিনের আবেদনটি ২ জুলাই ই-মেইলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ভার্চ্যুয়াল কোর্টে আগাম জামিন দেওয়ার কোনো বিধান নেই। ভার্চ্যুয়াল কোর্টের কার্যক্রম শুরুর পর গত তিন মাসে হাইকোর্টে আগাম জামিন দেওয়ার কোনো নজির নেই। আবেদনকারীদের স্বীকৃত মতে তাঁরা দেশের বাইরে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করেছেন। আইনের দৃষ্টিতে দেশের বাইরে থেকে আগাম জামিনসহ আদালতে কোনো ধরনের প্রতিকার চাওয়া যায় না।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ মে এক্সিম ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গুলশান থানায় ওই মামলাটি করে। মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, গত ৭ মে ঘটনাটি ঘটে। এক্সিম ব্যাংক মামলা করে ১৯ মে। পুরো ঘটনাটি ৫০০ কোটি টাকা ঋণ প্রস্তাব নিয়ে। এই ঋণের বিপরীতে বন্ধকি সম্পত্তি পরিদর্শনের নামে এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে ডেকে আনা হয়েছিল। এ সময় জামানত হিসেবে ওই সম্পত্তির বন্ধকি মূল্য কম উল্লেখ করেন ব্যাংকটির এমডি ও অতিরিক্ত এমডি। এরপরেই গুলি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। রন হক সিকদার ও দিপু হক সিকদার ব্যাংকটির এমডির কাছে একটি সাদা কাগজে জোর করে স্বাক্ষর নেন।