নব-নিযুক্ত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর বলেছেন, সাংবাদিকরা সমাজের দর্পন। এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। সাংবাদিকরা অন্যায়, অত্যাচার, দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে সমাজে ন্যায়ের পথ তৈরি করে দেন।
আজ শনিবার (৩ অক্টোবর) গোপালগঞ্জ রিপোর্টার্স ফোরামের অফিস পরিদর্শনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ দিন সকাল ১১টায় জেলা শহরের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় তলায় রিপোর্টার্স ফোরামের অফিসে আসেন এবং সংবাদকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে তিনি অফিস ঘুরে দেখেন।
এস এম মুনীর সংবাদকর্মীদের বেশি বেশি বস্তুনিষ্ঠ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। এতে সরকার প্রকৃত ঘটনা জানতে পারবে এবং সে অনুযায়ী দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারবে।
এ সময় রিপোর্টার্স ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন মুন্না, সাধারণ সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলাম, কালের কণ্ঠের গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি প্রসূন মণ্ডল, ডিবিসির সুব্রত সাহা বাপী, বাংলানিউজের একরামুল কবীর, এসএ টিভির বাদল সাহা, চ্যানেল২৪ এর রাজীব আহম্মেদ রাজু, দেশটিভির সলিল বিশ্বাস মিঠু, বাংলাটিভির সৈয়দ আকবর হোসেন, নিউজ২৪ এর মুন্সী মোহাম্মদ হুসাইন, সময় টিভির আমির হামজা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গতকাল শুক্রবার (০২ অক্টোবর) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে নব নিযুক্ত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে তিনি বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পরে ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করে ‘৭৫ এর ১৫ আগস্ট শহীদ বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। এরপর তিনি বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লেখে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, গোপালগঞ্জ আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাসির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এম জুলকদর, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, ঢাকা, গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট জেলার আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, মামলার জটের ব্যাপারে সরকার অবগত আছে। করোনাকালীন মামলার জোট যাতে আরো বেশি না হয় তার জন্য ভার্চ্যুয়াল কোট করা হয়েছে। সব মামলা হাইকোটে চলে আসার প্রবণতাও ঠিক না। এটা নিম্ন আদালতেই সমাধান করা উচিত। নিম্ন আদালতে সমাধান করতে না পারলে তখন উচ্চ আদালতে চলে আসে। হাইকোটের এ চাপটা অতিরিক্ত চাপ হয়ে যাচ্ছে। এটা সমাধান করার একটা সুষ্ঠু উপায় খুঁজে বের করা হবে। আমরা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করব।
চাঞ্চল্যকর মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসামিদের যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন কিছু কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে যায়। এই ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকার কারণেই উচ্চ আদালত থেকে আসামিরা জামিন পেয়ে যায়। যারা আইন প্রয়োগ করছেন তাদের কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ করবো-এদিকে লক্ষ্য রাখবেন। কারণ নিচের ভিত্তি যদি শক্ত না হয়, উপরে আসার পর এটা ঠেকানো খুব সমস্যা হয়। নিচের ভিত্তি শক্তিশালী হলে চাঞ্চল্যকর মামলা থেকে কেউ জামিন পাবে না।