ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) থেকে কুকুর অপসারণ বন্ধে করা রিটের ওপর শুনানি এক মাসের জন্য মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার (১২ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শুনানিতে আদালতে আইনজীবীরা জানান, কুকুর অপসারণ নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়রের আলোচনা এখনও চলমান। এ প্রেক্ষিতে আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলকে মেয়রের সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান ও ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
পরে আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব সাংবাদিকদের বলেন, কুকুর অপসারণ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলকে মেয়রের সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া মামলার কার্যক্রম আগামী এক মাস মুলতবি করেছেন আদালত। আলোচনা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আদালত কুকুরের বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন যে রকম প্যাকেজ পদ্ধতি গ্রহণ করেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকেও ঠিক ওই রকম প্যাকজ পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারে কি না- সেটিও আলোচনা করেছেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানী থেকে বেওয়ারিশ কুকুর স্থানান্তর করতে ডিএসসিসির কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। অভয়ারণ্য নামে প্রাণী কল্যাণ সংগঠনের সভাপতি রুবাইয়া আহমেদ, পিপলস ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ারের চেয়ারম্যান রাকিবুল হক এমিল ও অভিনেত্রী জয়া আহসানের পক্ষে ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব এ রিট করেন।
রিট আবেদনে কুকুর স্থানান্তর ও ডাম্প করার বিষয়ে ডিএসসিসির কার্যক্রমের বৈধতা প্রশ্নে রুল জারির আরজি জানানো হয়। রিটে ডিএসসিসিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, প্রাণী কল্যাণ আইন-২০১৯ এর ধারা-৭ অনুযায়ী বেওয়ারিশ কুকুরসহ কোনো প্রাণীকে অপসারণ, স্থানান্তরিত ও ফেলে দেয়া যাবে না। অথচ অভিযোগ রয়েছে-ডিএসসিসির মৌখিক আদেশে টিএসসি ও ধানমন্ডি থেকে বেওয়ারিশ কুকুর তুলে নিয়ে মাতুয়াইল ফেলে দেয়া হয়েছে।
এজন্য কুকুর স্থানান্তরের বিষয়ে ডিএসসিসির সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রমের বৈধতা রিট আবেদনে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। রিট আবেদনে আরও বলা হয়েছে, ডিএসসিসি কুকুরের সংখ্যা কমানোর জন্য যে অমানবিক প্রকল্প নিয়েছে এর সফলতার কোনো উদাহরণ নেই। এ ধরনের অমানবিক প্রকল্প বন্ধের জন্য ও প্রাণী কল্যাণ আইন, ২০১৯ এর অধীন বিধি প্রণয়নে হাইকোর্টের নির্দেশনা দেয়া একান্ত প্রয়োজন।