ওকালতনামায় স্বাক্ষর ছাড়া জামিন নিয়ে আসামি কারাগার থেকে বের হওয়ার ঘটনায় রোববার (১৮ অক্টোবর) হাইকোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার খন্দকার আল মামুন।
পরে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজ সোমবার (১৯ অক্টোবর) দিন ঠিক করেছেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালতের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন- খুরশীদ আলম খান। ডেপুটি জেলারের পক্ষে ছিলেন- মো. আলী আজম। আসামি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে আইনজীবী ছিলেন- শামীমা আক্তার।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের জানান, এনআরবি ব্যাংকের ১১ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে জিওলোজাইজ সার্ভেয়ার করপোরেশনের প্রোপাইটর অ্যান্ড চিফ সার্ভেয়ার মিজানুর রহমান কনকের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় গত ১৫ জুন হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি।
তবে সে সময় করোনার কারণে এফিডেফিট শাখা বন্ধ থাকায় আদালত বলেছিলেন, নিয়মিত আদালত চালু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে এফিডেফিট করে দাখিল করতে। পরবর্তীতে নিয়মিত আদালত চালু হলে এফিডেফিট করতে গিয়ে দেখে তার একটি মামলার ওকালতনামায় জেলারের স্বাক্ষর নেই। বিষয়টি তখন আদালতের নজরে আনা হয়।
আদালত ওকালতনামায় স্বাক্ষর নিয়ে পরবর্তী দিনে এফিডেফিট আদালতে দাখিল করতে বলেন। এরপর আসামিপক্ষ ডেপুটি জেলারের স্বাক্ষর সংবলিত ডকুমেন্ট দাখিল করে। বিষয়টি দেখে আদালতের খটকা লাগে- আসামি জামিন নিয়ে বাইরে থেকে ডেপুটি জেলারের স্বাক্ষর কীভাবে পেল?
তখন আদালত ডেপুটি জেলার খন্দকার মো. আল মামুনকে তলব করে ১১ অক্টোবর হাজিরের আদেশ দেন।
আদালতের দেয়া আদেশে ১১ অক্টোবর হাজির হয়ে জবাব দাখিলের জন্য সময় চায় ডেপুটি জেলারের আইনজীবী। পরে আদালত ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত সময় দেন। এরপর তিনি হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে তার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
আদালতকে তার আইনজীবী জানান, জেল খানায় এক সঙ্গে ৩০০-৪০০ ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে হয়। তখন বিষয়টি দেখে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বিধায় এ ভুল হয়েছে। পরে এ বিষয়ে আদেশের জন্য সোমবার ঠিক করেন আদালত।