অভিবাসী শ্রমিকদের সংখ্যা কমিয়ে আনতে কুয়েতের পার্লামেন্টে সর্বসম্মতিক্রমে একটি আইন পাস হয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা পাঁচ শতাংশের বেশি হতে পারবে না।
সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন এই আইনের ফলে দেশটিতে অভিবাসী শ্রমিকের সংখ্যা কমানোর ক্ষেত্রে দেশটির সরকারকে এক বছরের সময় বেঁধে দেওয়া হচ্ছে।
অভিবাসী শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম কুয়েত। দেশটির বর্তমান জনসংখ্যা ৪৮ লাখ। এরমধ্যে গত কয়েক দশকে দেশটিতে পাড়ি জমানো দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকের সংখ্যাই প্রায় ৩৪ লাখ। নতুন আইনের কারণে অনেক অভিবাসী শ্রমিককেই এখন বাধ্য হয়ে কুয়েত ছেড়ে দেশে পাড়ি জমাতে হবে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুয়েতের তেলনির্ভর অর্থনীতির গতিশীলতা ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন অভিবাসী শ্রমিকরা। তবে সম্প্রতি করোনাভাইরাস মহামারির কারণে তেলের দাম কমে যাওয়ায় কুয়েতের অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। অর্থনীতি সক্রিয় রাখতে এবং দেশে অভিবাসীদের সংখ্যায় ভারসাম্য আনতেই নতুন আইন জারি করা হয়েছে।
গত জুনে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল খালিদ আল সাবাহ বলেছিলেন, দেশে অবস্থানরত অভিবাসীর সংখ্যা ৭০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। তার ওই ঘোষণার পরই সরকার নতুন এই অভিবাসী আইন তৈরির পদক্ষেপ নেয়।
জুলাই মাসে কুয়েতের পার্লামেন্টে পাস হওয়া আইন অনুযায়ী, দেশটিতে ভারতীয় অভিবাসীর সংখ্যা ১৫ শতাংশের বেশি এবং মিসর, ফিলিপাইন এবং শ্রীলঙ্কার অভিবাসীর সংখ্যা ১০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। নতুন আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল এবং ভিয়েতনাম থেকে আসা অভিবাসীর সংখ্যা ৫ শতাংশের ওপরে যেতে পারবে না।
কুয়েতে অভিবাসী ইস্যু অনেক পুরনো। দেশটির আইনপ্রণেতারা সম্প্রতি অভিবাসী শ্রমিক কমানোর জন্য সরকারের ওপর চাপ দিচ্ছিলেন। কোটা ব্যবস্থা চালুর পাশাপাশি সরকারি চাকরিতে কর্মরত অভিবাসীদের কুয়েতিদের দিয়ে প্রতিস্থাপনেরও দাবি তুলেছেন তারা।
নতুন আইনের কারণে বহু অভিবাসী শ্রমিক কাজ হারাতে যাচ্ছেন।