হাইকোর্টের নির্দেশে বাসায় ফিরেছেন সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদের সহোদর মরহুম মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের দুই মেয়ে মুশফিকা মোস্তফা ও মোবাশশারা মোস্তফা।
এর আগে, সৎ মা কর্তৃক বাসায় প্রবেশে বাধা প্রদানের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিগোচর হলে সোমবার (২৬ অক্টোবর) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই আদেশ দেন।
আজ মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ কর্মকর্তা ও মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাইফুর রহমান জানান, সোমবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে দুই বোনকে পুলিশ পাহারায় প্রহরায় অনতিবিলম্বে তাদের গুলশান ২ নম্বরে ৯৫ নম্বর রোডের ৪ নম্বর হোল্ডিং এর বাড়ীতে প্রবেশের ব্যবস্থা করার জন্য গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ প্রদান করেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি ঐ বাড়ীর সামনে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতেয়েন করে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওসিকে নির্দেশ প্রদান করা হয় বলেও জানান সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র।
একইসঙ্গে হাইকোর্ট আগামী ১ নভেম্বর সকালে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ মুশফিকা মোস্তফা, মোবাশশারা মোস্তফা ও তাদের সৎ মা অনুজ কাপুরকে আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া ঐ দিন এ বিষয়ে ওসিকে লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন আদালত।
ইতোমধ্যে আদালতের নির্দেশে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টেলিফোনে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসারকে নিরাপত্তার বিষয়টি অবহিত করেছেন।
সাইফুর রহমান বলেন, গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাত ৯টা ৪০ মিনিটে আমাকে টেলিফোনে অবগত করেন। তিনি আদালতের আদেশ প্রতিপালন করে মুশফিকা মোস্তফা ও মোবাশশেরা মোস্তফাকে গুলশান ২ নম্বরে ৯৫ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাড়িতে উঠিয়ে দেন এবং বাড়ির সামনে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন।
উল্লেখ্য, গুলশান ২ নম্বরের ৯৫ নম্বর রোডে অবস্থিত একটি বিলাসবহুল তিনতলা বাড়ির মালিক তাদের বাবা মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদ। ১০ অক্টোবর ওয়াহিদ মারা যাওয়ার পর শত কোটি টাকার এ সম্পত্তি নিজের বলে দাবি করছেন অনজু কাপুর নামের এক নারী। তিনি নিজেকে ওয়াহিদের স্ত্রী বলেও দাবি করছেন। ওয়াহিদের দুই মেয়েকে ওই বাড়িতে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
টানা ২১ দিন (শনি ও রোববার) গেটের সামনে অবস্থান করেও তারা বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে গুলশান থানায় একাধিক জিডি ও অভিযোগ দেয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি।
এরপর গত রোববার (২৫ অক্টোবর) দৈনিক সমকাল, দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক প্রথম আলো এবং যমুনা টিভিতে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রচারিত সংবাদের ভিত্তিতে হাইকোর্ট এ নির্দেশ দেন।