দোষী সাব্যস্ত হলেও কারাগারে যেতে হচ্ছে না মাদক মামলার তিন আসামিকে। মাদক বিরোধী প্রচারণার শর্তে আদালত তাদের সংশোধনের সুযোগ দিয়েছেন।
কক্সবাজারের চকোরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার দেব গত ২১ অক্টোবর ব্যতিক্রমী এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৪ অগাস্ট চকোরিয়ার সোসাইটি পাড়াস্থ মো. রাজীব, মিনু আক্তার ও মমতাজ বেগমকে তাদের ঘর থেকে আটক করা হয়। এ সময় রাজীবের কাছ থেকে ২১টি ইয়াবা, মিনুর কাছ থেকে ২০০ গ্রাম গাঁজা এবং মমতাজের কাছ থেকে ২৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। বিচার শেষে রায় ঘোষণার মাধ্যমে আদালত ওই তিন আসামির সকলকে দন্ডিত করে দন্ডের পরিবর্তে ১ বছরের প্রবেশন আদেশ দেন।
রায়ে মাদক বিরোধী প্রচারণায় আসামীরা কি বলবেন সেটাও ঠিক করে দিয়েছেন আদালত। আসামীরা সপ্তাহে দুইদিন চকোরিয়া অ্যাডভোকেট অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হয়ে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে আদালত নির্ধারিত বক্তব্য দিয়ে মাদক বিরোধী প্রচারণা চালাবেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
রায়ে বলা হয়, চলতি বছরের অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ১০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহের রবিবার ও বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে এগারোটা পর্যন্ত তাদের এ কাজ করতে হবে।
এছাড়া সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার চকোরিয়া ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে একঘণ্টা মাদক বিরোধী প্রচারণা চালাতে হবে।
এছাড়াও আদালত নির্ধারিত সময় অনুযায়ী চকোরিয়ার ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও আসামীদেরকে মাদক বিরোধী প্রচারণা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।