জয়পুরহাটে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা দায়ের করায় বাদীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক রস্তম আলী সোমবার (২ নভেম্বর) বিকেলে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত বাদীর নাম লিলিফা বানু (৩৫)। তিনি জয়পুরহাট সদর উপজেলার সুন্দুরপুর গ্রামের শাহাজাহান আলীর স্ত্রী।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, গত বছরের ২২ জুন লিলিফা বানুর স্বামী ধামইরহাট উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামে তার খালার বাড়িতে ঘুরতে যান। ওইদিন রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে লিলিফা বানু তার ছেলে তানজিলকে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন।
পরে রাত ১২টার দিকে একই গ্রামের রুহুল আমিন বাড়ির প্রাচীর টপকে লিলিফা বানুর শয়ন ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। এসময় লিলিফার চিৎকারে পাশের ঘরে থাকা বোন ও বোন জামাই ছুটে এসে রুহুল আমিনকে ধরে ফেলেন।
এ ঘটনায় ২৭ জুন লিলিফা বানু বাদী হয়ে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিশেষ কৌঁসুলি ফিরোজা চৌধুরী জানান, তদন্তে মামলাটির সত্যতা মেলেনি। বাদী গোপনে মামলাটি আপোস করেছিলেন। আদালত এ ঘটনা জানার পর মামলার বাদীকে জেলহাজতে পাঠিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, সোমবার আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে বাদী জামিন আবেদন করেন। মিথ্যা মামলা দায়ের করায় আদালতের বিচারক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার বাদীকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতিও দিয়েছেন আদালত।
জয়পুরহাট আদালতের পিপি নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, গত মাসে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে পরপর দু’টি ধর্ষণ মামলার বাদীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। একই ধরণের ঘটনায় আবারও মামলার বাদীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী রায়। এ রায়ের ফলে মিথ্যা মামলার প্রবণতা কমবে বলে আশা করছি।