দেওয়ানী মোকদ্দমার কথা শুনলেই মনের মধ্যে ভেসে ওঠে জরাজীর্ণ নথি, সময়ের ভারে জর্জরিত পক্ষ ও বছরের পর বছর সময় পার। কিন্তু এবার মোকদ্দমা দাখিলের পর দেওয়ানী কার্যবিধি আইনসহ প্রচলিত আইনের সকল বিধি বিধান প্রতিপালন করে মাত্র ৩৬ কার্য দিবসের মধ্যে দেওয়ানী মোকদ্দমা নিষ্পত্তি হয়েছে।
এমন দুরূহ কাজটি সম্পাদন করেছেন বাগেরহাট জেলার মোংলা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মোঃ ইমরান মোল্লা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ অক্টোবর উক্ত আদালতে একটি দেওয়ানী মোকদ্দমা দাখিল হয়। দাখিলের পর যথারীতি আদালত মোকদ্দমার অপর পক্ষকে হাজির হবার জন্য নোটিশ প্রদান করেন।
পরবর্তীতে নোটিশ পেয়ে ২২ অক্টোবর মোকদ্দমার সকল পক্ষ আইনজীবীসহ সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে মোকদ্দমাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আদালতের নিকট আবেদন করেন।
এরপর ওই মোকদ্দমায় দেওয়ানী কার্যবিধির প্রতিটি স্তরের জন্য সংক্ষিপ্ত তারিখ ধার্য করেন এবং প্রতিটি ধার্য তারিখে পক্ষগণের ও তাদের বিজ্ঞ আইনজীবীদের উপস্থিতিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
পরে বিচারক সংক্ষিপ্ত সময়ে পক্ষগণের সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ করে যুক্তিতর্ক গ্রহণের মাধ্যমে মাত্র ৩৬ কার্যদিবসে আইনের সকল বিধিবিধান অনুসরণ করে গতকাল বুধবার (২ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণা করেন।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ আবু সাইদ মোল্লা ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, মাত্র ৩৬ কার্য দিবসে আইন অনুসরণ করে দেওয়ানী মোকদ্দমা নিষ্পত্তির ঘটনা বিরল। বিচারক মহোদয়ের নিরলস শ্রম এবং পক্ষগণের ও বিজ্ঞ আইনজীবীগণের আন্তরিকতার জন্য এমন অসাধ্য কাজ সম্পাদন করা সম্ভব হলো। সেজন্য তিনি আদালতের পক্ষ থেকে পক্ষগণ এবং আইনজীবীগণকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।