বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষার হলে হামলার ঘটনা ঘটেছে। পরীক্ষা শুরু ঘণ্টা খানিক পর এ হামলার ঘটনা ঘটে। বহিরাগতদের হামলায় পরীক্ষা গ্রহণ বন্ধ হয়ে গেছে।
আজ শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাকার পৃথক নয়টি কেন্দ্রে সকাল ৯টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। এ প্রতিবেদল লেখা পর্যন্ত মোহাম্মদপুরের ২-৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা স্থগিত রয়েছে বলে জানা গেছে।
ওই ৯ কেন্দ্রের মধ্যে একটি মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ। এ কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরু এক ঘন্টারর কিছু সময় পর দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়।
এ সময় পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে পরিক্ষার্থীদের জোর করে বের করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া হলের চেয়ার-টেবিলও ভাংচুর করা হয়।
বহুল কাঙ্ক্ষিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেও এমন অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে পরীক্ষা দিতে না পারায় হতাশ শিক্ষানবিশরা।
ওই কেন্দ্রে ভুক্তভোগী পরিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন সাজেদুল হক। কক্সবাজার থেকে ঢাকায় পরীক্ষা দিতে আসা এই শিক্ষানবিশ ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে জানান, নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শুরুর আনুমানিক ১ ঘণ্টা ২০ মিনিটের সময় শ্লোগান শুনতে পাই। এরপর বেশকিছু বহিরাগত হলে ঢুকে চেয়ার-টেবিল লাথি মেরে পরিক্ষার্থীদের বের করে দেন।
সাজেদুল আরও জানান, পরীক্ষার হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকের সঙ্গে কথা বললে এমন পরিস্থিতিতে এ কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে না বলে জানান তারা। পাশাপাশি তারা বার কাউন্সিলে যোগাযোগ করতে বলেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ওই শিক্ষানবিশ বলেন, এখন আমার কি হবে? এতদিনের অপেক্ষার পর সুযোগ পেয়েও পরীক্ষা দিতে পারলাম না!
আরেক পরিক্ষার্থীর ভাষ্যমতে, পরীক্ষার প্রশ্ন কঠিন হওয়ার অভিযোগ তুলে পরীক্ষার হল থেকেও কেউ কেউ বিক্ষোভ প্রকাশ করেছে। পরীক্ষা বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর একে অন্যের প্রশ্ন ছিঁড়ে ফেলেছেন বলেও জানান ওই শিক্ষানবিশ।