সাধারণত বিশ্বের প্রায় সব দেশে অভিযোগ হলো, মেয়েরা চাকরির সুযোগ পুরুষদের তুলনায় কম পান। তাদের উঁচু পদে নেয়া হয় না। কিন্তু ২০১৯ সালে প্যারিসের সিটি হলে ১৫টি শীর্ষ পদের মধ্যে ১১টি পেয়েছিলেন মেয়েরা।
ফলে লিঙ্গ-বৈষম্য হয়েছে বলে সিটি হলকে এক লাখ ১০ হাজার ডলারের (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৯৩ লাখ ২৯ হাজার ৩৮৯ টাকা) জরিমানা করা হয়েছে। ফ্রান্সের পাবলিক সার্ভিস মন্ত্রণালয় এই জরিমানা করেছে। খবর এএফপি, এপি।
ফরাসি আইন অনুসারে চাকরির ক্ষেত্রে লিঙ্গ-ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। অর্থাৎ, কোনো সংস্থায় ছেলে ও মেয়েদের সংখ্যার মধ্যে খুব বেশি হেরফের হবে না। কিন্তু প্যারিসের সিটি হলের সর্বোচ্চ স্তরে মেয়েদের সংখ্যা অনেকটা বেশি হয়ে যাওয়ায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিল মন্ত্রণালয়। সিটি হলে ৩০ শতাংশের মতো পদে পুরুষদের নেয়া হয়েছিল।
তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কও কম হচ্ছে না। প্যারিসের মেয়র হিডালগো বলেছেন, এই জরিমানা অবাস্তব, অন্যায্য, ভয়ঙ্কর এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত। তার সাফ কথা, প্রতিটি ক্ষেত্রে মেয়েদের এগিয়ে আসার জন্য উৎসাহ দিতে হবে। কারণ, ফ্রান্সে অধিকাংশ জায়গায় মেয়েরা পিছিয়ে।
২০০৩ সালের আইন অনুযায়ী, সিনিয়র পদে ৬০ শতাংশের বেশি পদে পুরুষ বা নারী কেউই থাকতে পারবেন না। মেয়েরা যাতে চাকরিতে, বিশেষ করে প্রশাসনে বেশি করে সুযোগ পান, তার জন্যই এমন আইন করা হয়েছিল।
বর্তমানে সিটি হলের সিনিয়র প্রশাসনিক পদের ৪৭ শতাংশতেই মেয়েরা আছেন।
ফ্রান্সের পাবলিক সার্ভিস মন্ত্রী স্বীকার করেছেন, ২০১৮ সালে এই আইন অনুসারেই জরিমানা করা হয়েছিল। আইনটি অবাস্তব বলে তারপর তা বাতিল করা হয়েছে।
প্যারিসের মেয়রকে তিনি বলেছেন, ‘আমি চাই, জরিমানার অর্থ যাতে মেয়েদের জন্য খরচ করা হয়। বিশেষ করে যারা এই ধরনের জনস্বার্থের সঙ্গে জড়িত বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত তাদের জন্য খরচ হোক।’
তিনি আলোচনার জন্য মেয়রকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সূত্র- সময় টিভি