সামর্থ্যের মধ্যে বা সাশ্রয়ী মূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার৷ শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এই অধিকার নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রের দায়বদ্ধ থাকা দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
শুক্রবার ভারতের সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ করোনাভাইরাস মোকাবিলাকে ওয়ার্ল্ড ওয়ার বা বিশ্ব যুদ্ধের সঙ্গেও তুলনা করেছেন। দেশটির শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির একটি প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
বিচারপতি অশোক ভুষণ, আর সুভাষ রেড্ডি এবং এমআর শাহ’র নিয়ে গঠিত তিন বিচারপতির বেঞ্চ একটি মহামারির সময়ে স্বাস্থ্যসেবা ইস্যু নিয়ে মন্তব্য করেন। তাঁরা জানান, করোনাভাইরাসে মৃতদের মরদেহ সম্মানের সঙ্গে সৎকার হয়নি এমন ঘটনাও দেখা গেছে।
আদালত বলেছে, স্বাস্থ্যের অধিকারের অর্থ হলো সামর্থ্য বা সাধ্যের মধ্যে চিকিৎসা পাওয়া। চিকিৎসা সামর্থ্যের মধ্যে রাখার বিধান তৈরি করা রাজ্যের দায়িত্ব। আদালত থেকে আদেশ দেওয়া হয়, ‘রাজ্য সরকার ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ যদি আরও বেশি বিধান তৈরি করে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর ফি নির্ধারণ করে দেয় তাহলে তা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইনের অধীনেই করা সম্ভব।’
বিচারপতিরা বলেন, এই দুর্বিষহ মহামারির কারণে দুনিয়ার সবাই কোনও না কোনওভাবে কষ্ট পাচ্ছে। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে এই লড়াই বিশ্বযুদ্ধের সমান। সেই কারণে সরকারি-বেসরকারিভাবে একত্রে উদ্যোগ নিয়ে এই বিশ্বযুদ্ধের মোকাবিলা করা উচিত। যতোদিন অতিবাহিত হচ্ছে করোনার চিকিৎসা ততোই খরচসাপেক্ষ হয়ে উঠছে৷ সাধারণ মানুষের পক্ষে তা চালানো কষ্টকর হয়ে উঠছে৷
বিচারকেরা সরকারকে হাসপাতালে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ, কোভিড ডিউটিতে নিযুক্ত চিকিৎসকদের ত্রাণ দেওয়ার জন্য নির্দেশিকা জারি এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক সভাগুলি কোভিড বিধি অনুসরণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্যও বলেছে।