ঢাকা আইনজীবী সমিতির এক সদস্যকে আদালতের লকআপে আটক রাখার ঘটনায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের সংগঠন সুপ্রিম কোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
আজ বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সমিতির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিনের সভাপতিত্বে বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় উল্লেখিত ঘটনা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। এ সময় ওই ঘটনায় সমিতির পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ এবং ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মনে করে, দেশের সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থার স্বার্থে বার ও বেঞ্চের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। কোন আইনজীবীর পেশাগত দায়িত্বপালন কালে এ ধরণের নিগ্রহের ঘটনা কোনভাবেই কাম্য নয়। আইনজীবীরা যাতে তাদের পেশাগত দায়িত্ব মর্যাদার সাথে পালন করতে পারেন সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
পাশাপাশি যথাযথ কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে উল্লিখিত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দায়ী ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে প্রসাশনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সমিতি আশা প্রকাশ করে।
উল্লেখ্য, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য রুবেল আহমেদ ভূঁইয়া ২২ ডিসেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মামলা করতে যান। এরপর পেশকারকে জিজ্ঞেস করেন কয়টার সময় বিচারক এজলাসে আসবেন।
পেশকার বললেন, ‘সাড়ে ১০টায় বিচারক এজলাসে উঠবেন। কিন্তু ১১টার পরেও বিচারক এজলাসে না আসায় এই আইনজীবী পেশকারকে বলেন সঠিক সময় বলবেন।
এরপর আদালত এজলাসে আসার পর মামলা শুনানির জন্য ডাক দিলে ওই আইনজীবী সামনে যান। তখন বিচারক ভুক্তভোগী আইনজীবীকে বলেন, আপনি কোর্টে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। তখন ওই আইনজীবী বলেন যে তিনি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন নি।
এরপর বিচারক বলেন, আমি আপনার মামলা শুনবো না। তখন পুলিশ ওই আইনজীবীকে ডেকে লকআপে ভেতর দুই ঘণ্টা আটকে রাখে।
এই বিষয়ে গতকাল ২২ ডিসেম্বর এই আইনজীবী ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করা হয়।