হত্যার উদ্দেশ্যে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার সুমার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া এই আদেশ দেন।
এর আগে আসামি ফাতেমাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন শাহবাহ থানার উপপরিদর্শক অমোল কৃষ্ণ দে।
অপর দিকে আসামির আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক ফাতেমার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ভুক্তভোগী সামিউল স্টিলের প্লেনসিটের দোকানে কাজ করেন। তিনি তার বেতনের টাকা স্ত্রী ফাতেমার কাছে জমা রাখতেন।
গত ৯ নভেম্বর সামিউল কেরানীগঞ্জের বাসা থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বের হলে আসামি ফাতেমা তাকে ফোন দিয়ে জানান, তিনি বঙ্গবাজার থেকে কেনাকাটা করে পীর ইয়ামেনি মার্কেটের সামনে যাবেন। সেখানে সামিউলকে তার জমানো টাকা দেবেন। এরপর সামিউল সেই টাকা নেয়ার জন্য পীর ইয়ামেনি মার্কেটের সামনে যান।
তখন আসামি তাকে বলেন, ‘রাস্তায় বসে তো পাঁচ লাখ টাকা দেয়া ঠিক হবে না’।
এরপর সামিউলকে আসামি ফাতেমা পীর ইয়ামেনি মার্কেটের আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান। এ সময় তিনি ভুক্তভোগীকে চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করেন। তারপর তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পুরুষাঙ্গের মাথা কেটে ফেলেন। এতে তার পুরো শরীর রক্তাক্ত হয়ে যায়। তখন ফাতেমা সামিউলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে পুরুষাঙ্গের কাটা অংশ দেখিয়ে বলেন, ‘বিয়ে করবি, তোর বিয়ের স্বাদ মিটিয়ে দিয়েছি’।
এ সময় ফাতেমা সামিউলকে বিষয়টি গোপন রাখতে হুমকি দেন। এরপর ফাতেমা তার অজ্ঞাত ২-৩ সহযোগীকে নিয়ে সামিউলকে সিএনজি করে ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা না হওয়ায় তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেও চিকিৎসা না হওয়ায় সর্বশেষ আল মানার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।