নেপালের বিরাটনগরের এক হোটেলে ‘নারীদের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায়’ ধৃত ভারতের বিহারের তিন বিচারক অবশেষে বরখাস্ত হলেন। ওই তিন বিচারক হলেন- হরিনিবাস গুপ্ত, জীতেন্দ্রনাথ সিংহ এবং কোমল রাম।
ঘটনার সময় হরিনিবাস ছিলেন সমস্তিপুরের পরিবার আদালতের প্রধান বিচারক। জীতেন্দ্র ছিলেন অররিয়ার অতিরিক্ত জেলা বিচারক। এবং কোমল ছিলেন অররিয়ারই অতিরিক্ত বিচারক তথা মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালে নেপালে বিরাটনগরের এক হোটেলে ‘মহিলাদের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায়’ পাওয়া গিয়েছিল তাঁদের। নেপাল পুলিশ তখনকার মতো তাঁদের ধরেও ছেড়ে দেয়।
পরে নেপালি একটি সংবাদপত্র বিষয়টি ফাঁস করে দিলে শুরু হয় বিচারের প্রক্রিয়া। নেপালি সংবাদপত্র ‘উদ্ঘোষ’-এর প্রতিবেদনে জানা গিয়েছিল, বিরাটনগরে মেট্রো হোটেলে পুলিশ অভিযান চালালে এই তিন জনকে ‘মহিলাদের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায়’ পাওয়া যায়।
এরপর ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি তাঁদের হেফাজতে নেওয়া হয়। জারি হয় বরখাস্তের আদেশ। সে বছর ফেব্রুয়ারিতে বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিন জন। ২০১৫ সালে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে পাঁচ বিচারপতিকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। তারা বরখাস্তের পক্ষেই সুপারিশ জানিয়ে দেয়।
হাইকোর্টের ধাপ পেরিয়ে জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। গত বছর সেপ্টেম্বরে তাঁদের বরখাস্তের পক্ষে পটনা হাইকোর্ট রায় দেয়। ২০১৯-এই সেই রায় বহাল রাখে শীর্ষ আদালত।
অপেক্ষা ছিল প্রশাসনিক নির্দেশের। ঘটনার সাত বছর পরে তা জারি হল। নিম্ন আদালতের ওই তিন বিচারককে বরখাস্তের প্রশাসনিক নির্দেশে বলা হয়েছে, এটি কার্যকর হবে ২০১৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে এবং অবসরের পরে নিয়মমাফিক বিচারকদের যা প্রাপ্য হয়, তার কিছুই পাবেন না হরিনিবাস গুপ্ত, জীতেন্দ্রনাথ সিংহ এবং কোমল রাম।