রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাছলিমা বেগম রেণু নামে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় পলাতক আসামির মহিন উদ্দিনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার (৩ জানুয়ারি) ঢাকা ম্যাট্রোলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের জন্য আগামী ১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে, গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ১৫ আসামির মধ্যে মহিন উদ্দিন পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। আসামি জাফর হোসেন পাটোয়ারী ও ওয়াসিম আহমেদ অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দেওয়া হয়। আলিফ, মারুফ, সুমন ও আকলিমা এই চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ না পাওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা তাদের অব্যাহতির আবেদন করেন।
বিজ্ঞ আদালতে প্রেরিত অভিযোগপত্রে গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তরা হলো- মো. ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় হোসেন মোল্লা (২০), মোছা. রিয়া বেগম ওরফে ময়না বেগম (২৯), মো. আবুল কালাম আজাদ ওরফে আজাদ মণ্ডল (৫০), মো. কামাল হোসেন (৪০), মো. শাহিন (৩২), মো. বাচ্চু মিয়া (৩৬), মো. বাপ্পী ওরফে শহিদুল ইসলাম (২১), মো. মুরাদ মিয়া (২৬), মো. সোহেল রানা (৩০), আসাদুল ইসলাম(২২), মো. বিল্লাল মোল্লা (৩২) ও ১২। মো. রাজু ওরফে রুম্মান হোসেন (২৩)।
২০১৯ সালের ২০ জুলাই উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে আহত করে বিক্ষুব্ধ জনতা। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন রেনুর ভাগনে নাসির উদ্দিন।
মহাখালীতে চার বছরের মেয়েকে নিয়ে থাকতেন রেনু। বছর দুই আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তার। ১১ বছরের একটি ছেলেও রয়েছে রেনুর।