শীতকালীন অবকাশ শেষে ২০২১ সালে সুপ্রিম কোর্টের প্রথম কর্মদিবসে সকলকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এরপর তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা এবার আদালতের কাজ শুরু করি।’
আজ রোববার (৩ ডিসেম্বর) তার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে ভার্চুয়াল কার্যক্রমের শুরুতেই মামলার শুনানিতে সংযুক্ত আইনজীবীদের মাধ্যমে সকলকে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ বলেন তিনি।
এ সময় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বেঞ্চে আপিল বিভাগের আরো তিনজন বিচারপতি সংযুক্ত ছিলেন। তারা হলেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মো. নুরুজ্জামান ও ওবায়দুল হাসান।
এরপর সুপ্রিম কোর্টের কার্যতালিকা (কজলিস্ট) অনুযায়ী মামলার শুনানি শুরু হলে আদালত চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মীর মোহাম্মদ নাসিরের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘মহামারি করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা নিয়ে আমরা মীর নাসিরকে জামিন দিচ্ছি।’ সেই সঙ্গে তাকে জরিমানা করে দেয়া আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বারের) সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস।
অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
উল্লেখ্য, সরকার ঘোষিত ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ কোর্টের অবকাশকালীন সময়ে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ তথা হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগের নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
যদিও গত বছরের ২০ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ২ জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন সময়ে শারীরিক উপস্থিতিতে এবং শারীরিক উপস্থিতি ব্যতীত (ভার্চুয়াল) উভয় পদ্ধতিতে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনায় অবকাশকালীন বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি।
এ সময় ভার্চুয়াল ও একচুয়াল মিলিয়ে মোট ৩৪টি অবকাশকালীন বেঞ্চ গঠন করা হয়। এরমধ্যে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনায় ৭টি দ্বৈত এবং ৫টি একক মিলিয়ে মোট ১২টি অবকাশকালীন বেঞ্চ গঠন করা হয়।
অন্যদিকে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতীত অর্থাৎ ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচার কাজ পরিচালনার জন্য ৮টি একক এবং ১৪টি দ্বৈত মিলিয়ে মোট ২২টি অবকাশকালীন বেঞ্চ গঠন করা হয়।
একইসঙ্গে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচার কাজ পরিচালনায় আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার আইন, ২০২০ এবং কোর্টের জারিকৃত প্র্যাকটিস ডাইরেকশন অনুসরণ করার বিষয়টিও প্রতিপালনের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।