রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের একটি মামলার নথি চুরির অভিযোগে করা মামলায় এক আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রাজবাড়ীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তারেক মঈনুল ইসলাম ভূইয়া বুধবার (৬ জনুয়ারি) এই আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো আইনজীবীর নাম সুদীপ্ত গুহ আশীষ। তিনি শহরের সজ্জনকান্দার বাসিন্দা।
এর আগে, ৩০ অক্টোবর আইনজীবীসহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে সদর থানায় মামলা করা হয়। অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবদুল ওদুদ খান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার অন্য দুজন আসামি হলেন- লক্ষ্মণ কুমার ও মাসুদুর রহমান।
মামলার পর আইনজীবী সুদীপ্ত গুহ আশীষ হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন। বুধবার তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাদী আবদুল ওদুদ খান বলেন, আদালত থেকে মামলার নথি লিখিত আবেদন করে দেখতে হয়। কিন্তু মানবিক কারণে মৌখিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নথি দেখতে দেওয়া হয়।
গত ২৫ অক্টোবর আইনজীবী সুদীপ্ত মামলার নথি দেখতে মৌখিক আবেদন করেন। তাঁকে নথি সেরেস্তায় বসে নথি দেখতে দেওয়া হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে আদালতের সহকারী লিটন উপস্থিত ছিল। লিটন তাঁর পেশাগত কাজ করছিলেন।
একপর্যায়ে কৌশলে আইনজীবী নথিটি নিয়ে চলে যান। তাঁকে কক্ষে দেখতে না পেয়ে কক্ষের বাইরে এসে লিটন দেখেন যে তিনি চলে যাচ্ছেন। তাঁকে ডাকতে ডাকতে পেছনে ছুটতে থাকেন লিটন। কিন্তু আইনজীবী ডাক না শুনে নিজের গাড়িতে করে সেখান থেকে চলে যান।
বাদী আরও বলেন, বিষয়টি তাৎক্ষণিক বারের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে জানানো হয়। তাঁরা মুঠোফোনে সুদীপ্ত গুহের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
পরে আইনজীবী সমিতির নেতারা ওই আইনজীবীর বাড়িতে যান। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি। বিভিন্নভাবে নথি উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
সুদীপ্ত গুহের আইনজীবী তসলিম আহমেদ বলেন, সুদীপ্ত গুহ হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। তাঁর জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে তিনি বুধবার জামিনের আবেদন করেন। বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।