দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

ইসির দুর্নীতি নিয়ে দুদকে সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীর অভিযোগ

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে এনে অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন ১০ জন আইনজীবী।

আজ বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরসহ সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী অভিযোগ দাখিল করেন।

ভুয়া বিলের মাধ্যমে অর্থ লোপাটের অভিযোগ তুলে এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, অন্যান্য কমিশনার, বর্তমান ও সাবেক সচিব এবং কমিশন সচিবালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়।

অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণের নামে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা ব্যতীত ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা খরচসহ সরকারি অর্থের ক্ষতি করা হয়েছে।

অভিযোগ দায়ের করা আইনজীবীরা হলেন– আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, মো. আসাদ উদ্দিন, মোহা. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জুবায়েদুর রহমান, মো. আব্দুস সবুর দেওয়ান, আর রেজা মো. আমির, আব্দুল্লাহ হিল মারুফ ফাহিম, জিএম মুজাহিদুর রহমান, মুস্তাফিজুর রহমান ও মো. জহিরুল ইসলাম।

অভিযোগ দায়েরের আবেদনের সঙ্গে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় গত ৩ জানুয়ারি ‘প্রশিক্ষণ ভাতা নিয়ে ঘুম হারাম ইসির’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়।

অভিযোগ দায়ের প্রসঙ্গে আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, সংযুক্ত পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত পদ ছাড়াই ‘বিশেষ বক্তা’, ‘কোর্স পরিচালক’ ও ‘কোর্স উপদেষ্টা’ হিসেবে ভাতা নেওয়া, নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি এবং খাত পরিবর্তন করে ভাতা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এই অভিযোগের সঙ্গে ১. নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ২. নির্বাচন কমিশনাররা ৩. বর্তমান সচিব, ৪. সদ্য সাবেক সচিব এবং ৫. নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেকে জড়িত ছিল মর্মে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

উল্লিখিত ব্যক্তিরা সরকারের মোট সাত কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা খরচের মাধ্যমে সরকারি অর্থের ক্ষতিসাধন করেছেন। উল্লিখিত দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের দ্বারা দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৫১১/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি দমন আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

আবেদনে উপরোক্ত অভিযোগ আমলে নিয়ে উল্লিখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ১৭(ক), ১৭(খ), এবং ১৭(গ) ধারা অনুযায়ী অনুসন্ধান, তদন্ত পরিচালনা এবং মামলা দায়েরের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছেন দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক। এমনকি এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

গত ১৯ ডিসেম্বর এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনের ‘গুরুতর অসদাচরণ ও আর্থিক দুর্নীতির’ কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরেন দিলীপ সরকার।