পুলিশি নির্যাতনে শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মৃত্যুর ঘটনার জের ধরে বরিশাল মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিন মাহিকে প্রত্যাহার করেছে পুলিশ। তাকে গোয়েন্দা পুলিশ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে, ওই আইনজীবীর মৃত্যুর ঘটনায় বরিশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে এসআই মহিউদ্দিনকে।
এসআই মহিউদ্দিনকে প্রত্যাহার করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান। তিনি বলেন, প্রশাসনিক কারণে সোমবার (৪ জানুয়ারি) রাতে এসআই মহিউদ্দিনকে ক্লোজড করা হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগের তদন্ত চলছে।
এর আগে, বরিশাল আইনজীবী সমিতির শিক্ষানবীশ আইনজীবী রেজাউল করিম রেজাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। রেজাউলের পরিবারের অভিযোগ, তাকে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে এসআই মহিউদ্দিন গ্রেফতারের পর নির্যাতন করায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
গত শনিবার (২ জানুয়ারি) রাত ১২টা ৫ মিনিটে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত রেজাউলের পিতা ইউনুস মুন্সীর অভিযোগ, সোমবার (৪ জানুয়ারি) ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়েরের জন্য কোতোয়ালি থানায় গিয়েছিলেন তিনি। তবে থানা তার মামলা নেয়নি। পরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন তিনি।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী মহসিন মন্টু বলেন, নিহত রেজাউল করিম রেজার বাবা ইউনুছ মুন্সি বাদী হয়ে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় মাহনগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মহিউদ্দিনসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও দুই পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যুর প্রতিবাদে রোববার (৩ জানুয়ারি) বিক্ষুব্ধ জনতা বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও এসআই মহিউদ্দিনের বাড়িতে হামলা করে।
ওই দিনই উপকমিশনার মোকতার হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করার পরই ক্লোজড করা হলো এসআই মহিউদ্দিন মাহিকে।