পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজির আহমেদ বলেছেন, ‘কেউ মাদকসেবী থাকলে পুলিশ থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। সব র্যাঙ্কের রেনডম ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। আমরা ঘর পরিষ্কার করতে চাই। পুলিশের মধ্যে কেউ মাদকসেবী থাকবে, এটা আমরা চাই না।’
বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ শেষে শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বেনজির আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে যে অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলার ব্যত্যয় হলে শূন্য সহিষ্ণুতা। কাউকে টলারেট করতে চাই না।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে কোথাও কোনো চাঁদাবাজির প্রশ্নই ওঠে না। এটা অন্যায় কাজ এবং কেউ চাঁদাবাজি করলে সেটাও আমরা সমর্থন করব না। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
আইজিপি বলেন, ‘আর পুলিশের কেউ যদি প্রফেশনাল যে দায়িত্ব আছে, সেই দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কোনো ধরনের অপকর্মে যুক্ত হন, এ ক্ষেত্রে আমি ট্রান্সপারেন্ট, আপনারা দেখেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। এসব ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কঠোরতা দিয়েই নিয়ন্ত্রণ করি।’
করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সফলতার কথা উল্লেখ করে বেনজির আহমেদ বলেন, ‘সব শ্রেণি–পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের নেতৃত্বে করোনা মোকাবিলা করেছি। চলতি বছরও একইভাবে করোনা সম্পূর্ণরূপে পর্যুদস্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা দায়িত্ব পালন করে যাব।’
তিনি বলেন, পশ্চিমা বিশ্বে যে রিসোর্স নিয়ে হিমশিম খেয়েছে, আমি মনে করি, ‘আমাদের দেশে ও রকম রিসোর্স না থাকা সত্ত্বেও দেশবাসী সরকারের নেতৃত্বে যেভাবে করোনা মোকাবিলা করেছেন, তার স্বীকৃতিও ইতিমধ্যে পেয়েছি।’
পুলিশ প্রধান বলেন, ‘আমরা করোনার রেজিলিয়েন্সের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ব্লুমবার্গের হিসাবমতে প্রথম এবং বিশ্বে বিশতম। এটা অনেক বড় ব্যাপার। পশ্চিমা বিশ্বকে বিট করে বিশতম হয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, দেশের মানুষ হাইলি রেজিলিয়েন্ট। তাঁরা অবশ্যই অতিমারি অতিক্রম করতে পারবেন। অর্থনৈতিক দিক দিয়েও বাঘা বাঘা অর্থনীতি পর্যুদস্ত হয়েছে। আমরা ইকোনমিতেও ভালো অবস্থানে রয়েছি। এই অঞ্চলে আমাদের অর্থনৈতিক গ্রোথ ঈর্ষণীয়।’