নিজের দোষ ঢাকতে স্বামীর বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক যৌতুক মামলা দায়েরের অভিযোগে এক নারীকে চার হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করে রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
আজ সোমবার (১১ জানুয়ারী) ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালত এর দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত নারীর নাম রুপালী আক্তার (২৬)। তিনি সোনাগাজী থানাধীন চর চান্দিয়া সাকিনের আবু সুফিয়ানের মেয়ে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতে বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট হাসান মাহমুদ মামুন ও আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট আদালতের স্টেনোটাইপিষ্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর রেজাউল করিম মজুমদার ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে জানান, যৌতুক আইন, ২০১৮ এর ৩ ধারায় হরয়ানীমূলক মিথ্যা মামলা করায় ফৌজদারী কার্যবিধির ২৫০ ধারায় দোষী সাব্যস্তক্রমে ৪ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেছেন আদালত।
আদালতসূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী রুপালী বেগমের সাথে ২২ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে আসামী মো. আলাউদ্দিনের বিবাহ হয়। তারা স্বামী-স্ত্রী উভয় চাকুরী করেন।
পরবর্তীতে বাদী অন্য লোকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের প্রেক্ষাপটে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। মামলা চলাকালীন বাদী রুপালী আক্তার আসামীকে তালাক প্রদান করেন।
মামলার সাক্ষ্য প্রমাণে রায়ে প্রমাণিত হয় আসামীকে হয়রানী করার জন্য নিজের দোষ থাকা স্বত্বেও বাদী রুপালী আক্তার হয়রানীমূলক মামলা দায়ের করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী জানান, এ মামলায় ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামী মো. আলাউদ্দিন, পিতা-মৃত মো. আবদুর রব কে খালাস প্রদান করে হয়রানীমূলক মামলা করায় বাদী রুপালী আক্তারকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়। বাদী উপস্থিত হয়ে নি:শর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
পরে যৌতুক আইন, ২০১৮ এর ৩ ধারায় হরয়ানীমূলক মিথ্যা মামলা করায় ফৌজদারী কার্যবিধির ২৫০ ধারায় দোষী সাব্যস্তক্রমে ৪ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন আদালত।