সারাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দীনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে আজ শুনানিও হতে পারে।
এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর সারাদেশে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও নির্মাণাধীন ভাস্কর্যগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জেলা ও উপজেলা সদরদফতরের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের অগ্রগতি এক মাসের মধ্য জানাতে বলেছিলেন আদালত।
৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা করার জন্য আগে করা এক রিটের প্রেক্ষিতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এক আদেশ দিয়েছিলেন। আদেশে প্রতিটি জেলা ও উপজেলার সদরদফতরে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
আদালতে ওই দিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী বশির আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি দাখিল করে। এতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ৩৮০টি উপজেলা ও ৬৩টি জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স স্থাপন করে কমপ্লেক্সের সামনে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন করেছে।
রিটের পক্ষে আইনজীবী বশির আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার প্রতীক। কুষ্টিয়ার বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙার মতো জঘন্যতম ঘটনা ঘটেছে। অথচ সংবিধানের ২৪ অনুচ্ছেদ আছে, এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। ভাস্কর্যগুলো রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্য পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট ডিসি ও এসপিদের প্রতি নির্দেশনার দেওয়ার আরজি জানান তিনি।
আবেদন শুনানি নিয়ে উপরোক্ত আদেশ দেন হাইকোর্ট।