গত ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত আইনজীবী অন্তর্ভুক্তির লিখিত পরীক্ষায় ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে বাতিল হওয়া ৫টি কেন্দ্রের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
এ বিষয়ে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অন্যান্য পরীক্ষাগুলো এক সঙ্গে আরম্ভ হওয়ায় কেন্দ্র পেতে সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি পরীক্ষার হল পাওয়া সাপেক্ষে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহের মধ্যে স্থগিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।’
এদিকে আইনজীবী হিসেবে নিবন্ধন হওয়ার অপেক্ষায় থাকা হাজারো শিক্ষার্থী স্থগিত হওয়া বার কাউন্সিলের পাঁচটি কেন্দ্রের পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা না হওয়ায় হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন।
শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা জানান, ‘দীর্ঘ ৩ বছর পর লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলাম। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় কয়েকটি কেন্দ্রের পরীক্ষা স্থগিত করে পুনরায় পরীক্ষা দেওয়ার ঘোষণায় বার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানাই। একই সঙ্গে আমাদের হতাশা থেকে মুক্তির জন্য দ্রুত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার জন্য অনুরোধ জানাই।’
উল্লেখ্য, গত ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর ৯টি কেন্দ্রে বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রশ্নপত্র কঠিনের অজুহাতে পরীক্ষার্থীদের একাংশ পরীক্ষা বর্জন করেন। একই সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের খাতাপত্র ছিঁড়ে ফেলা, বিশৃঙ্খলা, কেন্দ্র ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫টি কেন্দ্রের পরীক্ষা বাতিল ঘোষণাপূর্বক পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের নোটিশ জারি করে বার কাউন্সিল। কেন্দ্রগুলো হলো- রাজধানীর মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, বিসিএসআইআর উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ।
পাঁচটি কেন্দ্রের পরীক্ষা তারিখ অতি দ্রুত ঘোষণা করা হবে মর্মে নোটিশ জারি হলেও এখন পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। এদিকে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষার্থী বার কাউন্সিলের এমসিকিউ পরীক্ষার প্রতীক্ষায় রয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির ব্যাপারটি বিবেচনা নিয়ে ২০১৭ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল বনাম দারুল ইহসান মামলায় আপিলেড ডিভিশন ১২টি নির্দেশনার মধ্যে প্রতি ক্যালেন্ডার ইয়ারে এনরোলমেন্ট পরীক্ষার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও বাস্তব চিত্র ভিন্ন।
আইন অনুযায়ী ৬ মাস অন্তর পরীক্ষা গ্রহণের বিধান থাকলেও দীর্ঘ ৩ বছরে একটি পরীক্ষার পুরো প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করতে পারেনি বার কাউন্সিল। ২০১৯ বছরে ২২ নভেম্বর প্রিলি পরীক্ষার তারিখ ঘোষিত হলেও তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। পরে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ওই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা তারিখ ঘোষণা করা হলেও তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।