বয়স বেশি দেখিয়ে এক কিশোরীর বিয়ের নিবন্ধনের প্রেক্ষাপটে ফেনী পৌরসভার এক নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজিকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
ফেনী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাজি সিরাজুল ইসলাম মজুমদারকে ১৬ মার্চ আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই বিয়েসংক্রান্ত সব কাগজপত্র ও রেজিস্টার ভলিউমসহ সেদিন তাঁকে আদালতে আসতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন। ওই কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে করা মামলায় এক আসামির জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে রুলসহ ওই আদেশ দেওয়া হয়।
আদালতে আসামি জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাবেদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী শাহ এমরান। রাষ্ট্রপক্ষ শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ওই কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে তার বাবা জাহিদুলসহ অন্যদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় জাহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে বিফল হয়ে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন জাহিদুল।
শুনানিতে আসামিপক্ষ জানায়, ফেনীর সোনাগাজীর ওই কিশোরীর সঙ্গে জাহিদুলের বিয়ে হয়েছে। এতে মেয়েটির জন্মতারিখ ২০০২ সাল উল্লেখ আছে। অথচ মামলার এজাহার অনুসারে মেয়েটির বয়স ১৫ বছর। বিষয়টি নজরে এলে আদালত এ আদেশ দেন।