সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (সুপ্রিম কোর্ট বার) ২০২১-২০২২ বর্ষের নির্বাচনে ১৪ পদের বিপরীতে চূড়ান্তভাবে ৫১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচন উপলক্ষে রোববার (৭ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে প্রার্থী পরিচিতি সভা সম্পন্ন হয়েছে। এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সমিতি ভবনে উপচে পড়া ভিড় তৈরি হয় ।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান, বিচারপতি (অবঃ) এ এফ এম আবদুর রহমান মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই এবং প্রত্যাহার শেষে ৫১ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে জানান। ১৪ পদের মধ্যে ৭টি সম্পাদকীয় পদ এবং ৭টি কার্যনির্বাহী সদস্য পদ রয়েছে।
৭টি সম্পাদকীয় পদের বিপরীতে ২৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে সভাপতি পদে ৫ জন, দুটি সহ-সভাপতি পদের বিপরীতে ৬ জন, সম্পাদক পদে ৪ জন, কোষাধ্যক্ষ পদে ৪ জন এবং ২ টি সহ-সম্পাদক পদের বিপরীতে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৭টি কার্যনির্বাহী সদস্য পদের জন্য ২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে কে কী করতে চান, তার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন সংক্রান্ত সকল বিধি বিধান অনুসরণ করে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। নির্বাচনে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্যরাই প্রচারণা চালাতে পারবেন।
এবারের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরুকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট আব্দুল আলীম মিয়া জুয়েলকে সম্পাদক পদে মনোনয়ন দিয়ে অন্যান্য পদে তাদের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ তাদের প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করেছে। তারা সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ও সম্পাদক পদে (বর্তমান সম্পাদক) ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে মনোনয়ন দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নির্দলীয় হলেও অঘোষিতভাবে এবারও সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবীদের দুটি আলাদা প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। দুই দলের সমর্থকদের মধ্য থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীও হয়েছেন অনেকেই।
এছাড়া বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে আরেকটি প্যানেলে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট ওয়ালিউর রহমান খান এবং সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মির্জা আল মাহমুদও নির্বাচন করছেন।
এছাড়া লাল প্যানেল নামে আরেকটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়। ওই প্যানেলে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট কে এম জাবির ও সম্পাদক পদে মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর বাইরেও সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস আলী আকন্দ স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থী হয়েছেন।
আগামী ১০ ও ১১ মার্চ এ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে সাত হাজার ৭২২ জন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।