ফেনীতে মাদক মামলায় ১ জন আসামীকে ৬ শর্তে ১ বছরের জন্য প্রবেসন প্রদান করেন আদালত। আজ ১৫ মার্চ সোমবার ফেনীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালত এর অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন এ আদেশ দেন।
আসামী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক সজল (২২) ছাড়াও আদেশ ঘোষনাকালে আদালতে জেলা প্রবেসন অফিসার এ.এইচ.এম আলা উদ্দিন, এ.পি.পি নিমাই লাল সূত্রধর ও আসামীর নিয়োজিত আইনজীবী মো. আব্দুল আলিম মাকসুদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রবেসনের শর্তাবলী হল- (১) রায়ে উল্লেখিত আসামী কখনো মাদক সেবন, পরিবহন ও বিক্রয় করবেন না। আসামী ধুমপান হইতে নিজেকে বিরত রাখবে। (২) আসামী মাদক বিরোধী জনমত, আন্দোলন এবং জনসচেতনায় ব্যক্তিগতভাবে অংশগ্রহণ করবেন ও ভূমিকা রাখবেন। (৩) আসামী প্রবেসনকালীন সময়ে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও দেশপ্রেমের বিষয়ে মানুষকে অনুপ্রাণিত করবেন। (৪) আসামী তার নিজ বাড়ীর আঙ্গিনায় ১০(দশ) টি ফলজ ও বনজ গাছ রোপন করবেন এবং উক্ত বিষয়টি প্রবেসন কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন। (৫) আসামী তার বৃদ্ধ বাবা-মাকে সেবা করবেন ও সাধ্যমত ভরণ-পোষন প্রদান করবেন। (৬) আসামী দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রবেসন কর্মকর্তার সাথে প্রতি মাসে নূন্যতম ০১(এক) বার দেখা করবেন ও তার অগ্রগতি জানাবেন। এছাড়া প্রবেসন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ রাখবেন। প্রবেসন কর্মকর্তার নির্দেশ মতে তিনি নিজেকে পরিচালিত করার চেষ্টা করবেন।
এই মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, গত ১৫ নভেম্বর, ২০২০ তারিখ বিকাল ০৫:১০ ঘটিকায় পরশুরাম মডেল থানার এস.আই মো. আশরাফ হোসেন অভিযান পরিচালনা করে আসামীর দখল থেকে ০৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেন ও জব্দ করেন। এ.এস.আই আব্দল মতিন থানায় এজাহার দায়ের করেন। গত ২৮ ডিসেম্বর, ২০২০খ্রি. তারিখ এস.আই রিযাউল জব্বার অভিযোগপত্র দাখিল করলে গত ১৫/০২/২১খ্রি. তারিখ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় এবং একই দিন আসামী অনুতপ্ত হয়ে স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করেন।
নথিসূত্রে আরো জানা যায়, জেলা প্রবেসন অফিসার এ.এইচ.এম আলাউদ্দিন সরেজমিনে তদন্ত করে আসামীর বিষয়ে প্রবেসন সুপারিশ করে প্রাক দন্ডাদেশ প্রতিবেদন দাখিল করেন। আসামী পেশায় একজন সহকারী বাবুর্চী ও অবিবাহিত। তার বৃদ্ধ বাবা-মা আছে। আসামীর পূর্ব কোন মামলার রেকর্ড নাই। আসামীর সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আদালত ০৬ টি পৃথক শর্তে আসামী ০১ বছরের জন্য প্রবেশন প্রদান করেন।