তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সংঘটিত অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে চট্টগ্রামে সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে সরকার।
চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এসকেএম তোফায়েল হাসানকে নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে এই ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
টেলিফোন, অনলাইন এবং ই-মেইল হ্যাকিং-সংক্রান্ত অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের জন্য সরকার ২০১৩ সালে একটি সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল গঠন করে।
বর্তমানে ঢাকার আদালতে স্থাপিত সাইবার ট্রাইব্যুনালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে (আইসিটি অ্যাক্ট) দায়ের করা মামলার বিচারকাজ চলছে। সাইবার ট্রাইব্যুনাল আইনের-২০০৬-এর বিধানের আলোকেই এসব ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে মিথ্যা ও গুজব রটানোর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে এবং ৫৭ ধারায় মামলার দ্রুত বিচার শেষ করতে সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।
এ ছাড়া মানহানিকর তথ্য প্রকাশ, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো, অনুমতি ছাড়াই ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের বিচার হবে এই ট্রাইব্যুনালে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পৃথক চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের জন্য এরই মধ্যে ৭টি পদ সৃজন করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা ও দায়রা জজ পদমর্যাদার একজন বিচারক থাকবেন।
এ ছাড়া সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর একজন, বেঞ্চ সহকারী একজন, আউটসোর্সিং গাড়িচালক একজন, আউটসোর্সিং জারিকারক একজন, এমএলএসএসের একজন আউটসোর্সিং পদ রয়েছে। পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালে গাড়ি, কম্পিউটার ও ফটোকপিয়ার মেশিন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ঢাকার বাইরে প্রথম চট্টগ্রামে সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে সরকার। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগ দেওয়ার গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে এই ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।