মোঃ ফরিদুজ্জামান; সহকারী জজ, ঝিনাইদহ।
মোঃ ফরিদুজ্জামান; সহকারী জজ, ঝিনাইদহ।

শহর ও গ্রামের জমি নিয়ে আমানতের(অগ্রক্রয়) মামলাঃ আইনের মারপ্যাঁচ

মোঃ ফরিদুজ্জামান:

বাংলাদেশের আদালতসমুহে বিশেষ করে অধস্তন দেওয়ানি আদালতসমুহে অগ্রক্রয় মামলা নিয়ে বেশ কিছু অমীমাংসিত প্রশ্ন রয়েছে। বাংলাদেশে অগ্রক্রয় মামলার বিধান নিয়ন্ত্রিত হয় রাষ্ট্রীয় অধীগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ (১৯৫০ সালের আইন) এর ৯৬ ধারা এবং অকৃষি প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৪৯ (১৯৪৯ সালের আইন) এর ২৪ ধারার মাধ্যমে। ৯৬ ধারা ২০০৬ সালে সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধনের ফলে অগ্রক্রয়ের মামলা দায়ের করার সুযোগ কমে গেছে। তবে, ২৪ ধারার বিধান অপরিবর্তিত রয়েছে। ২০০৬ সালের সংশোধনের আগে অগ্রক্রয় বিষয়ক দুটি ধারার বিধানের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য ছিল না। কিন্তু ২০০৬ সালের পর এই দুটি ধারার ব্যবহারে কতিপয় পদ্ধতিগত পরিবর্তন এসেছে। অধিকাংশ অধস্তন আদালতে অগ্রক্রয় বিষয়ক মামলাসমূহ আইনগত জটিলতায় বিচারাধীন আছে দীর্ঘবছর। কিছু প্রশ্ন সামনে আসে। সেসব প্রশ্নের সমাধান না হলে এ ধরণের মামলা আরোও বহু বছর আদালতে অনিষ্পন্ন অবস্থায় পড়ে থাকবে।

বর্তমানে ৯৬ ধারা এবং ২৪ ধারার মধ্যে কী পার্থক্য আছে তা সব আলোচনার আগে জানা জরুরি। ২৪ ধারাতে অকৃষি জমি; ৯৬ ধারাতে কৃষি জমির বিধান আলোচনা করা হয়েছে। অকৃষি জমির সংজ্ঞা দেওয়া আছে ১৯৪৯ সালের আইনের ২(৪)নং ধারায়। সেখানে বলা হয়েছে- ‘কৃষি বা বাগানের সাথে সম্পর্কহীণ ভুমি অকৃষি ভুমি হিসেবে গণ্য হবে এবং সেসব জমি যেগুলো কৃষি বা বাগানের উদ্দেশ্য বাদে ইজারা মাফিক দখলে রাখা হয়।’  তবে, কিছু জমিকে অকৃষি হওয়ার ক্ষেত্রে শর্ত দেওয়া হয়েছে। শর্ত না মানলে সেগুলো অকৃষি জমি হিসেবে বিবেচিত হবে না। যেমন- যেসব জমি জমিদারের প্রতক্ষ্য বা পরোক্ষ সম্মতি না নিয়েই ১২ বছরের কম সময় কৃষি বা বাগানের কাজে ব্যবহার করা হয়; চা চাষ বা উৎপাদনের সাথে সম্পর্কিত ভুমি সেসব জমি অকৃষি জমি হিসেবে বিবেচিত হবে না। এখানেও শর্ত আছে। যদি অত্র আইনের ৭২ ধারা অনুসারে কোন কৃষি জমি অকৃষি জমিতে রুপান্তরিত করা হয় যেসব জমির ক্ষেত্রে অত্র আইনের বিধান প্রযোজ্য, তবে সেসব জমি অকৃষি জমি হিসেবে বিবেচিত হবে। সুতরাং জমিদারের যে কোন প্রকারের সম্মতি নিয়ে যদি ১২ বছরের বেশি সময় কোন ব্যক্তি কোন কৃষি জমি অকৃষি জমি হিসেবে ব্যবহার করেন তবে সেসব জমি অকৃষি জমি হিসেবে বিবেচিত হবে।

১৯৫০ সালের আইনের ২নং ধারায় কৃষি জমির সরাসরি কোন সংজ্ঞা প্রদান করা হয় নি। তবে, ‘জোত’ [(হোল্ডিং)], ‘বাস্তুভিটা’ এবং ‘ভুমি’ শব্দগুলোকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। ২(১৩)নং ধারায় বলা হয়েছে,‘ একজন রায়ত বা তার অধীনে কোন রায়ত কর্তৃক দখলকৃত কোন জমির খন্ড বা খন্ডসমূহ অথবা জমির অবিভাজিত অংশ হলো জোত ।’ ২(১৫) ধারায় ‘জমি বা ভুমি’র সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে,‘ চাষকৃত , চাষকৃত নয় অথবা বছরের সেকোন সময় যে জমি জলমগ্ন থাকে এবং জমি থেকে আসা কোন সুবিধা, ঘর বা দালান এবং মাটির সাথে সংলগ্ন থাকা কোন জিনিস কে জমি বা ভুমি বলা হবে।’ ২(১৪) ধারায় বাস্তুভিটার সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ‘বাস্তুভিটা বলতে বসবাসের নিমিত্তে কোন ঘরের নিচের মাটি; এর সাথে উঠান, বাগান, ট্যাংক, প্রার্থনা স্থান এবং ব্যক্তিগত কবরস্থান যেগুলো বসবাসের ঘরের সাথে সংলগ্ন।’ উপরের আলোচনা হতে বোঝা যায় ১৯৫০ সালের আইনে কৃষি জমির সংজ্ঞা ব্যাপক অর্থে ব্যকহৃত হয়েছে।

এখন দেখা যাক, উপরের দুটি আইনে অগ্রক্রয়ের বিধান নিয়ে কী কী সমস্যা আছে। আদালত পরিচালনা করার ফেব্রুয়ারীতে কিছু প্রশ্ন সামনে এসেছে। পৌরসভার বাইরের জমি সেটা যদি বাস্তুশ্রেনীর হয় তাহলে অগ্রক্রয়ের বিধান কোন আইনের অধীনে নিয়ন্ত্রিত হবে? অগ্রক্রয়ের মামলা করার ক্ষেত্রে কোন আইনে মামলা হবে তা নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে দলিল অনুসারে নাকি খতিয়ান দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে? একই দলিলে যদি ভিন্ন ভিন্ন শ্রেনীর জমি হস্তান্তরিত করা হয় তাহলে একই মামলায় কি দুটি আইনের বিধান অনুসারে একটি মামলা করা যাবে ? ২০০৬ সালে ১৯৫০ সালের আইনের ৯৬ ধারায় সংশোধনের ফলে অগ্রক্রয় বিষয়ক কোন মামলা কি ২৪ ধারা থেকে ৯৬ ধারা বা ৯৬ ধারা থেকে ২৪ ধারায় রুপান্তর করা যাবে? ১ম কিস্তির আলোচনায় উপরের প্রশ্ন সমূহের মধ্যকার প্রথমটি নিয়ে আলোচনা করা হলো।

পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন বনাম পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের বাইরের জমিঃ ১৯৪৯ সালের আইনের ২৪ ধারার কোথাও বা আইনের কোন ধারায় বলা হয় নি যে, এই আইনটি শুধুমাত্র পৌরসভার বা সিটি কর্পোরেশনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; বাইরের কোন গ্রাম এলাকার জন্য প্রযোজ্য নয়। তবে প্রশ্ন উঠেছে এই আইনের ২৪ ধারা গ্রাম্য অকৃষি জমাজমির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কিনা; এবং যদি কোন শরীক এ ধরনের জমি তৃতীয়পক্ষের নিকট হস্তান্তর করেন, তাহলে অগ্রক্রয় মামলা ২৪ ধারায় করা যাবে কিনা। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের অনেক রায় হয়েছে এ বিষয়ে। প্রত্যেকটা রায় সাংঘার্ষিক বলে প্রতীয়মান হয়। কোন রায়েই নির্দিষ্ট কোন নির্দেশনা সাধারন মানুষের জন্য আসেনি। এক একটা রায়ের প্রেক্ষাপট এক এক রকম উল্লেখ করে এই সমস্যা সমাধান করার কোন উপায় পাওয়া যায় নি। যেমন- বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের মহামান্য আপীল বিভাগ আব্দুল মজিদ প্রামানিক বনাম মোঃ সোহরাব আলী এবং অন্যান্য ১৬ এম.এল.আর (এ.ডি.) ১-৪নং মামলার রায়ে বলা হয়েছে যে, গ্রাম এলাকার কোন অকৃষি জমি হস্তান্তর নিয়ে কোন অগ্রক্রয় মামলা দায়ের হলে আদালত দেখবেন প্রজাস্বত্ব কৃষি নাকি অকৃষি ব্যবহারের উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছিল। সুতরাং যদি সাক্ষ্য প্রমাণে আসে যে, যে জমি নিয়ে ২৪ ধারায় অগ্রক্রয়ের মামলা করা হয়েছে, সেসব জমির প্রজাস্বত্ব আসলে অকৃষি উদ্দেশ্যেই সৃষ্টি করা হয়েছিল সেসব অকৃষি জমির ক্ষেত্রে ২৪ ধারা প্রযোজ্য হবে। তবে বিষয়টা খুব জটিল। কারণ ঐ রায়ে আরোও বলা হয়েছে, যদি কোন অকৃষি জমি কোন কৃষি জোতের অংশ হয় তাহলে অগ্রক্রয় মামলা ২৪ ধারা অনুসারে হবে না। এই রায়টি ২০০৯ সালে প্রকাশিত। এই রায়ের পরে এ বিষয়ে নতুন কোন রায় হয় নি।

আব্দুল খালেক বনাম আব্দুল নুর এবং অন্যান্য ২৫ বিসিআর (এডি)২২২-২২৪ নং মামলার রায়ে বলা হয় যে, বাস্তুবাড়ির সাথেই যদি কোন কৃষি প্রজার কৃষি জোত থাকে তাহলে এমন জমিকে অকৃষি জমি বলা যাবে না। যখন বন্দোবস্ত দেওয়া হয় তখন কী শর্তে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছিল সে বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে গ্রামের কোন জমি অকৃষি আর কোন জমি কৃষি জমি।

তবে, অধ্যাপক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম তাঁর ভুমি আইন(২০১৮)(২য় সংস্করণ) এর ২২৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন যে, ২০০৬ সালের পর ১৯৫০ সালের আইনের ৯৬(১৬) ধারা অনুসারে বাস্তুবাড়ির জমির ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য হবে না। সেক্ষেত্রে, ১৯৪৯ সালের আইনের ২৪ ধারা প্রয়োগ হওয়া উচিৎ ছিল; কিন্ত ভুমি সংস্কার অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ৬ ধারা অনুসারে গ্রাম এলাকার কোন মালিক কর্তৃক কোন জমি বাস্তুবাড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হলে সেই বাস্তুবাড়ির ক্ষেত্রে কোন ‘আইনগত প্রসেস’ প্রযোজ্য হবে না। সে কারণে তিনি ২১ বি.এল.ডি. এর ২৪৪নং পৃষ্ঠায় বর্ণিত মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের পর্যবেক্ষণ অনুসারে বাস্তুবাড়ির ক্ষেত্রে ১৯৫০ সালের বা ১৯৪৯ সালের কোন আইনরে বিধানেই ‘অগ্রক্রয়’ মামলা কার যাবে না বলে অভিমত দিয়েছেন।

২২বি.এল.ডি. (হাইকোর্ট বিভাগ) এর ২৪৪-২৪৯ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আবুল কাশেম গাজী এবং অন্যান্য বনাম শেখ নজরুল ইসলাম মামলায় বিচারপতি জনাব নাজমুন আরা সুলতানা কর্তৃক প্রদত্ত রায়টি পর্যালোচনায় দেখা যায় ঐ রায়ের বিষয়টি ছিল ২০০৬ সালের আগের বিষয় নিয়ে। তর্কিত দলিলটি ছিল ১৯৯২ সালের । অগ্রক্রয় মামলাটি ছিল ১৯৫০ সালের আইনের ৯৬ ধারার অধীনে(২০০৬ সালের সংশোধনীর আগের বিধান)। আপীলে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ বলেন, ক্রেতা- তঃছানীপক্ষ জমিটি কেনার আগে থেকেই সেখানে বাড়িঘর ছিল এমন কোন প্রমাণ দিতে পারেন নি। তাছাড়া ১৯৮৪ সালের ৬ ধারার বিধানে ব্যতিক্রম বিধান আছে ঐ ধারার শর্তে। সেখানে বলা আছে,“ তবে শর্ত থাকে যে, যদি কোন বাস্তুবাড়ির আয়তন এক স্ট্যান্ডার্ড বিঘার বেশি হয় তাহলে ঐ এক স্ট্যান্ডার্ড বিঘার বেশি অংশ বাস্তুবাড়ি হিসেবে গন্য হবে না।” উপরের মামলার ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটেছে। সেখানে প্রমাণিত হয়েছে যে, জমির ক্রেতা ক্রয়ের পর সেখানে বাড়িঘর নির্মাণ করেছেন। সুতরাং অধ্যাপক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এর মতামত গ্রহনযোগ্য নয়। কারণ এই ধারাটি গ্রাম এলাকায় ১৯৪৯ সালের আইন ব্যবহারে প্রকৃতপক্ষেই বাধা কিনা সে বিষয়ে স্পষ্ট কোন বিধান খুঁজে পাওয়া যায় নি।

সুতরা গ্রাম এলাকার কোন বাস্তুবাড়ির জমি ১৯৪৯ সালের আইনের ২৪ ধারা অনুসারে অগ্রক্রয়যোগ্য কিনা সে ব্যাপারে ১৯৮৪ সালের আইন বাধা হতে পারে না। সেখানে মুল বিষয় হবে তর্কিত জমি কী উদ্দেশ্যে বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছিল তার উপর। যদি প্রজাস্বত্ব সৃষ্টির লগ্ন থেকেই কোন জমি অকৃষি উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় তাহলে সেখানে ১৯৪৯ সালের ২৪ ধারা ব্যভহার হতে কোন বাধা নেই। তবে, এ বিষয়ে আইনে সংযোজন করে বা মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট কোন নজির তৈরি করে সমস্যার সমাধান তৈরি করতে পারেন যতদিন সংসদ আইন তৈরি করবেন না। তাছাড়া কোন জমির প্রজাস্বত্ব কোন উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছিল তা প্রমাণ সাপেক্ষ। সে বিষয়ও সাক্ষ্য প্রমাণে উঠে আসতে পারে। মামলার সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ; কারণ এ বিষয়ে অগ্রক্রয় মামলা দায়ের করার প্রথমেই সিদ্ধান্ত নেওয়া সঠিক হবে না। সেক্ষেত্রে ভুল সিদ্ধান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।

আবার, ২০০৬ সালের সংশোধনের পর ১৯৫০ সালের ৯৬ ধারায় এবং ১৯৪৯ সালের ২৪ ধারায় অন্যান্য পার্থক্যের সাথে খুব গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য করা হয়েছে ‘ভুমি’ এবং ‘জোত’র মধ্যে। সেখান থেকেও সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে কোন ধারার মধ্যে দরখাস্ত দায়ের করতে হবে। কারণ উচ্চ আদালত সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছেন যে, যদি কোন জোতের কোন অংশ অকৃষি উদ্দেশ্যে ব্যবহার হয়েও থাকে তবুও সে জমিতে অগ্রক্রয়ের দরখাস্ত দায়ের করতে হবে ১৯৫০ সালের ৯৬ ধারা অনুসারে। (চলমান…..)

তথ্যসূত্রঃ

১। ৯৬ ধারা, রাষ্টীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ (http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-details-241.html)

২। ২৪ ধারা, অকৃষি প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৪৯ (http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-details-232.html)

৩। Mohammad Towhidul Islam, Land Law: Text, Cases & Materials, (2nd Edition,2018), p.229.

৪। আব্দুল মজিদ প্রামানিক বনাম মোঃ সোহরাব আলী এবং অন্যান্য ১৬ এম.এল.আর (এ.ডি.) ১-৪

৫। আব্দুল খালেক বনাম আব্দুল নুর এবং অন্যান্য ২৫ বিসিআর (এডি)২২২-২২৪

৬। আবুল কাশেম গাজী এবং অন্যান্য বনাম শেখ নজরুল ইসলাম ২২বি.এল.ডি. (হাইকোর্ট বিভাগ), ২৪৪-২৪৯

৭। ধারা ৬, ভুমি সংস্কার অর্ধাদেশ, ১৯৮৪ (http://bdlaws.minlaw.gov.bd/act-details-665.html)

৮।  Justice Mohammad Hamidul Haque, Trial Of Civil Suits and Criminal Cases Reprint (2015),pp 198-207.

লেখক: সহকারী জজ, ঝিনাইদহ।