লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন গুদাম থেকে জব্দ করা আড়াই হাজার বস্তা (১১৫ মেট্রিক টন) সরকারি চাল ও গম নিলামে তোলার টেন্ডার স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার (২১ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
হাইকোর্টের এই আদেশের ফলে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এনএসআইয়ের যৌথ অভিযানে সরকারি সিল লাগানো কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) প্রকল্পের ৯৫ মেট্রিক টন চাল ও ২০ মেট্রিক টন গমের নিলাম সোমবার (২২ মার্চ) হচ্ছে না।
আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আবেদনকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান ও রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাঘমার।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাঘমার।
বিপুল বাঘমার গণমাধ্যমকে জানান, কাবিখার চাল ও গম নিলামে তোলার টেন্ডার নিয়ে করা আবেদনের বিষয়ে শুনানি নিয়ে রুল জারি করার পাশাপাশি স্থগিতাদেশ দিয়েছেন আদালত। আমরা এ বিষয়ে পরামর্শ করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা (আপিল আবেদন) গ্রহণ করবো।
অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, ২০২০ সালের ২ জুলাই কমলনগরের আব্দুর রবের মালিকানাধীন গোডাউনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এনএসআই যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানে গুদাম থেকে ৯৫ মেট্রিক টন চাল ও ২০ মেট্রিক টন গম জব্দ করা হয় এবং গোডাউনটি সিলগালা করে দেয়া হয়। এ নিয়ে পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন নিলামের জন্য গত ৮ মার্চ দরপত্র আহ্বান করে। আগামীকাল সোমবার নিলামের জন্য ধার্য ছিল।
তিনি বলেন, এই নিলাম হাইকোর্ট আজ স্থগিত করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে বাদীর চাল গম আটক করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং বাদীকে কেন চাল-গমগুলো ফেরত দেয়া হবে না, সেজন্য হাইকোর্ট রুলও জারি করেছেন। এখন আদালতে শুনানি শেষে নির্ধারিত হবে, বাদীপক্ষ চাল পাবে কি না। সে পর্যন্ত নিলাম কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।
অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার আরও বলেন, কাবিখা প্রকল্পের চাল সাধারণত বাজার মূল্যে বিক্রি করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। সুতরাং বৈধভাবে বৈধ লাইসেন্সধারী ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন।